ফেব্রুয়ারি ২১, ২০২৪, ০৪:০৪ পিএম
সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন হত্যা মামলার প্রধান আসামি তুষার নারায়ণগঞ্জ জেলা কারাগারে আত্মহত্যা করেছে। মঙ্গলবার (২০ ফেব্রুয়ারী) সন্ধ্যায় কারাগারের একটি খালি ওয়ার্ডে প্রবেশ করে গলায় ফাঁস দেয় সে।
আত্মহত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন জেলা কারাগারের জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন।
তুষার ২০২০ সালে সাংবাদিক ইলিয়াসকে হত্যার পরে রক্তাক্ত অবস্থায় পুলিশের হাতে গ্রেপ্তার হয়। তখন থেকেই সে কারাগারে বন্দী ছিল।
জেল সুপার মোকাম্মেল হোসেন বলেন, গতকাল কারাবন্দীদের সেলে প্রবেশের দশ মিনিট আগে সে নিজের সেল বাদ দিয়ে অন্য আরেকটি খালি সেলে প্রবেশ করে। সেখানে তাঁর ব্যবহৃত চাদর দিয়ে গলায় ফাঁস দেয়। কর্তব্যরত সদস্যরা সেখানে পৌছে তাকে উদ্ধার করে। অচেতন অবস্থায় তাকে নারায়ণগঞ্জ ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় সেখানে প্রায় আধঘণ্টা চিকিৎসা শেষে সাড়ে ৭টার দিকে সে মৃত্যুবরণ করে তুষার।
তিনি আরও বলেন, তুষার গত কয়েক দিন ধরেই অস্থির ছিল। কারণ তাঁর মামলার রায়ের তারিখ ঘনিয়ে আসছিল। নামাজের পাশাপাশি তাহাজ্জুদ নামাজও পড়ত। তার সেলে থাকা অন্য বন্দীদের বলত ‘আমার জন্য দোয়া করিস। আমার কিছু যদি হয়ে যায়। আমি তো আদালতে হত্যার স্বীকারোক্তি দিয়েছি। আমি তো রেহাই পাব না।’ আমাদের ধারণা সে তার মামলার রায় নিয়ে মানসিক চাপ নিতে পারেনি।
জেল সুপার বলেন, নিহতের লাশ বুধবার সকাল সাড়ে ১০টায় সুরতহাল রিপোর্ট হবে। এরপর বিকেলের মধ্যে ময়নাতদন্ত শেষ করে লাশ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
২০২০ সালের ১১ অক্টোবর ইলিয়াসকে প্রকাশ্যে কুপিয়ে হত্যা করে তুষার। গ্রেপ্তারের পর নারায়ণগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আহমেদ হুমায়ুন কবীরের আদালতে সাংবাদিক ইলিয়াস হোসেন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে জবানবন্দি প্রদান করেন।
সাংবাদিক ইলিয়াস হত্যা মামলায় তুষার সহ মোট ৮ জনের নামে হত্যা মামলা দায়ের করা মামলার অন্যান্য আসামিরা বর্তমানে জামিনে রয়েছেন।