ছবি: সংগৃহীত
খাগড়াছড়িতে জুম্ম ছাত্র-জনতার ডাকা অনির্দিষ্টকালের সড়ক অবরোধ চতুর্থ দিনের মতো চলমান রয়েছে। এদিকে জেলার খাগড়াছড়ি-চট্টগ্রাম ও খাগড়াছড়ি-ঢাকা সড়কে অবরোধ শিথিল করা হলেও দূরপাল্লার বাস চলাচল শুরু হয়নি। অভ্যন্তরীণ সড়কগুলোতে অল্পসংখ্যক ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। তবে প্রয়োজন ছাড়া মানুষ বাইরে বের হচ্ছে না। অন্যদিকে প্রশাসনের জারি করা ১৪৪ ধারাও বহাল রয়েছে জেলার সদর ও গুইমারা উপজেলায়।
মঙ্গলবার, ৩০ সেপ্টেম্বর খাগড়াছড়ি শহরের শাপলা চত্বর ও চেঙ্গী স্কয়ার এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, মোড়ে মোড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা মোতায়েন রয়েছেন। একাধিক ব্যক্তিকে একসঙ্গে দেখলেই তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করে যেতে দেওয়া হচ্ছে। ওষুধের ফার্মেসি ছাড়া অধিকাংশ দোকানপাট বন্ধ রয়েছে।
এদিকে রোববার গুইমারায় সহিংসতায় নিহত তিন পাহাড়ির মরদেহের ময়নাতদন্ত শেষে সোমবার রাতে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। রাতেই তাদের দাহক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুইমারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল হক চৌধুরী। তিনি বলেন, আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে প্রশাসন কাজ করছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনাবাহিনীর টহলের পাশাপাশি, বিজিবি, পুলিশ ও এপিবিএন সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
জানতে চাইলে খাগড়াছড়ি সদর সেক্টর কমান্ডার কর্নেল মো. আব্দুল মোত্তাকিম জানিয়েছেন, ৯ প্লাটুন বিজিবি খাগড়াছড়ি শহরে দিনে ও রাতে সার্বক্ষণিক টহল পরিচালনা করছে। এ ছাড়া পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের জন্য আরও দুই প্লাটুন স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে। খাগড়াছড়ি পৌরসভা, সদর উপজেলা ও গুইমারা উপজেলায় এখনো ১৪৪ ধারা বহাল রয়েছে।
এদিকে সোমবার প্রশাসনের সঙ্গে বৈঠক করেন আন্দোলনকারী জুম্ম ছাত্র-জনতার ছয় প্রতিনিধি। বৈঠকে তারা ১৪৪ ধারা প্রত্যাহারসহ আট দফা দাবি পেশ করেন। প্রশাসনের পক্ষ থেকে অবরোধ প্রত্যাহারের অনুরোধ জানানো হলেও বৈঠকে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক এ বি এম ইফতেখারুল ইসলাম খন্দকার বলেন, ‘এখন পর্যন্ত কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে ১৪৪ ধারা নির্দেশনা তুলে নেওয়া হবে।’