অক্টোবর ১, ২০২৩, ০৯:১৫ পিএম
আদালতের সিদ্ধান্ত ব্যতিরেকে খালেদা জিয়ার বিদেশে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই মন্তব্য করে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, খালেদা জিয়ার পরিবার উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে বিদেশে পাঠানোর কথা বলছেন। এই অবস্থা তাকে বিদেশে যেতে হলে দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী আদালতের শরণাপন্ন হতে হবে।
রবিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউস্থ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যৌথসভায় তিনি এসব কথা বলেন তিনি।
ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ শাখা, আশপাশের জেলা শাখা এবং সহযোগী ও ভ্রাতৃপ্রতীম সংগঠনগুলোর সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গে বৈঠক করতে এ সভা ডাকা হয়। সভায় নির্বাচন সামনে রেখে এবং অক্টোবর মাসে সরকারের বেশ কয়েকটি বড় উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন ঘিরে টানা কর্মসূচি ঘোষণা করে আওয়ামী লীগ।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ তিনবারের প্রধানমন্ত্রী। দুর্নীতির দায়ে তার সাত বছরের কারাদণ্ড হয়। তিনি লাহোর হাইকোর্টের আদেশে চিকিৎসার জন্য যুক্তরাজ্য যাওয়ার সুযোগ পেয়েছিলেন। অনেকে আ স ম আব্দুর রবের কথা বলেছেন। আপনাদের মনে রাখতে হবে- আ স ম রবের বিচার হয়েছিল সামরিক আদালতে। প্রচলিত আদালতে নয়। দেশে তখন কোনো সাংবিধানিক সরকার ব্যবস্থা ছিল না। আ স ম রব, কর্নেল তাহেরের সঙ্গে একই মামলায় অভিযুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে দেশের উচ্চ আদালত কর্নেল তাহেরের সেই প্রহসনের বিচার সংবিধানের পঞ্চম সংশোধনী, সপ্তম সংশোধনীকে বেআইনি, অসাংবিধানিক ও অবৈধ ঘোষণা করে। সে কারণে আ স ম রবের বিদেশ যাওয়ার বিষয়টি কোনো প্রকার উদাহরণ হিসেবে এই প্রসঙ্গে বিবেচিত হতে পারে না।
আরও উদাহরণ দিয়ে তিনি বলেন, দেশের উচ্চ আদালত সম্প্রতি সংসদ সদস্য হাজী সেলিমকে একমাসের মধ্যে আত্মসমর্পণের নির্দেশ প্রদান করেছে। হাজী সেলিম তিনি ৩০ দিনের মধ্যেই বিদেশে গিয়ে চিকিৎসা নিয়ে দেশে ফিরে আসেন। আদালতের রায়ে তার পাসপোর্ট বাতিল কিংবা ৩০ দিনের মধ্যে বিদেশে যাওয়ার কোনো প্রকার নিষেধাজ্ঞা না থাকায় এক্ষেত্রে আইনের কোনো ব্যত্যয় ঘটেনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনা, খালেদা জিয়ার প্রতি সর্বোচ্চ উদারতা ও মানবিকতা দেখিয়েছে। দেশের প্রচলিত আইন সংবিধান ফৌজধারী কার্যবিধি যতোটুকু ক্ষমতা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে দিয়েছে তার সর্বোচ্চটুকু তিনি খালেদা জিয়াকে সাজা স্থগিত করে, বাসায় থেকে দেশের সর্বাধুনিক হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসা সেবা গ্রহণের সুযোগ করে দিয়েছেন। মানবিকতার এমন নজির পৃথিবীতে দ্বিতীয়টি দেখানো খুবই কঠিন।