জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ৫ দিনের জন্য মোতায়েন থাকবে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ১৮, ২০২৫, ০৪:০৮ পিএম

জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটে ৫ দিনের জন্য মোতায়েন থাকবে আইন শৃঙ্খলাবাহিনী

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোটকে সামনে রেখে এবার আইন শৃঙ্খলাবাহিনী পাঁচ দিনের জন্য মাঠে মোতায়েন থাকবে। আজ বৃহস্পতিবার নির্বাচন কমিশন (ইসি) এ বিষয়ে একটি পরিপত্র জারি করেছে।

পরিপত্রে উল্লেখ করা হয়েছে, সংসদ নির্বাচন ও গণভোটের জন্য আইন শৃঙ্খলাবাহিনী ৯ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৩ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত মাঠে দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনের আগে তিন দিন এবং পরে একদিন মোতায়েন থাকবে।

এর আগে সারা দেশে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়গুলোতে নিরাপত্তা জোরদারের নির্দেশ দিয়েছিল ইসি। কার্যালয়গুলোতে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স মোতায়েনেরও নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি জানা গেছে নির্বাচন কমিশনের উপসচিব মোহাম্মদ মনির হোসেনের স্বাক্ষরিত চিঠি থেকে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গত ১১ ডিসেম্বর ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সময়সূচি জারি করা হয়েছে। ইতোমধ্যে রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসার নিয়োগের প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। এই অফিসগুলোতে নির্বাচন সংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ নথি, নির্বাচনী মালামাল ও যন্ত্রপাতি সংরক্ষিত থাকে। তাই নির্বাচনকালীন সময়ে অফিসগুলোতে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিবেচনায় নথি ও নির্বাচনী মালামালের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা এবং অফিস কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সুরক্ষা রাখা অত্যাবশ্যক বলে ইসি সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

পরিপত্রে আরও বলা হয়েছে, এই অবস্থায় রিটার্নিং অফিসার ও সহকারী রিটার্নিং অফিসারের কার্যালয়ে নিরাপত্তা বিধানে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পুলিশ ফোর্স মোতায়েনের নির্দেশ দেওয়া হলো।

এর আগে প্রধান নির্বাচন কমিশনার, চার কমিশনার, ইসি সচিবসহ মাঠ পর্যায়ের কার্যালয় এবং তিন আঞ্চলিক রিটার্নিং কর্মকর্তার জন্য অতিরিক্ত নিরাপত্তা চাওয়া হয়েছে। বর্তমানে প্রধান নির্বাচন কমিশনারের জন্য গাড়িসহ পুলিশি এসকর্ট থাকলেও নির্বাচনকালীন সময়ে আরও একটি গাড়িসহ অতিরিক্ত এসকর্টের আবেদন করা হয়েছে। চার কমিশনার ও সিনিয়র সচিবের বাসভবন ও অফিসে যাতায়াতসহ সার্বক্ষণিক নিরাপত্তা প্রদানের কথাও বলা হয়েছে।

উল্লেখ্য, আগামী বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি একই দিনে অনুষ্ঠিত হবে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও গণভোট। মনোনয়নপত্র দাখিলের শেষ সময় ২৯ ডিসেম্বর, বাছাই ৩০ ডিসেম্বর থেকে ৪ জানুয়ারি, আপিল দায়ের শেষ ১১ জানুয়ারি, নিষ্পত্তি ১২–১৮ জানুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ সময় ২০ জানুয়ারি। চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা প্রকাশ ও প্রতীক বরাদ্দ হবে ২১ জানুয়ারি, নির্বাচনী প্রচার চলবে ২২ জানুয়ারি থেকে ১০ ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ৭টা পর্যন্ত।

Link copied!