অক্টোবর ১৩, ২০২৪, ০৬:২০ পিএম
চট্টগ্রামের কুতুবদিয়া এ্যাংকরেজ এলাকায় অবস্থানরত এলপিজিবাহী এমটি ক্যাপ্টেন নিকোলাস জাহাজ ও বি. এলপিজি সোফিয়া জাহাজে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে ৮ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
রোববার (১৩ অক্টোবর) নৌপরিবহন এবং বস্ত্র ও পাট উপদেষ্টা ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) ড. এম সাখাওয়াত হোসেনের নির্দেশে এ তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্ত কমিটির প্রধান করা হয়েছে চট্রগ্রাম বন্দর কতৃপক্ষের সদস্য (হার্বার অ্যান্ড মেরিন) কমোডর এম ফজলার রহমানকে। কমিটিতে নৌবাহিনী, কোস্টগার্ড, ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স, ডিজিএফআই, এনএসআই, নৌপরিবহন অধিদপ্তরসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা আছেন। এই কমিটিকে আগামী পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়েছে।
তদন্ত কমিটিকে এমটি ক্যাপ্টেন নিকোলাস এবং বি. এলপিজি সোফিয়া জাহাজে অগ্নিকান্ডের কারণ উদঘাটন, এলপিজি পরিবহনে জাহাজ এবং জাহাজ সমূহের নাবিকদের আন্তর্জাতিক মানদন্ড, পরিবাহিত এলপিজি এর পরিবহন ও উপযুক্ততা নিরূপণ, অগ্নিদুর্ঘটনার ফলে সংঘঠিত ক্ষয়ক্ষতি ও দায় দায়িত্ব নিরুপন, ভবিষ্যতে এ ধরনের দুর্ঘটনা রোধে সুপারিশ প্রণয়ন এবং সংশ্লিষ্ট যেকোনো বিষয় পর্যালোচনাপূর্বক প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।
দুর্ঘটনার বর্ণনা দিয়ে নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা কাজী আরিফ বিল্লাহ লেখেন, গত ৭ অক্টোবর কুতুবদিয়া অ্যাংকরেজ এলাকায় তানজানিয়ার পতাকাবাহী এমটি ক্যাপ্টেন নিকোলাস আসে এলপিজি খালাস করতে। মাদার ট্যাংকার থেকে এলপিজি খালাস করতে যায় বি এলপিজি সোফিয়া নিকেলাস।
লাইটারিং চলাকালে রোববার প্রথম প্রহরে রাত আনুমানিক ১২ টা ৫৫ মিনিটে প্রথমে এম টি ক্যাপ্টেন নিকোলাসের ডেকে আগুন লাগে। পরে তা বি এলপিজি সোফিয়া জাহাজেও আগুন ছড়িয়ে যায়।
আগুন নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে গেলে বি এলপিজি সোফিয়ার নাবিকরা পানিতে ঝাঁপিয়ে পড়ে। পরে টাগ তুফান এক্সপ্রেস ৩১ জন নাবিককে জীবিত উদ্ধার করে।
এই আগুনের ঘটনা জানার সঙ্গে সঙ্গে নৌপরিবহন উপদেষ্টা নাবিকদের উদ্ধার ও আগুন নেভাতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ দেন বলেও জানানো হয় মন্ত্রণালয়ের বার্তায়।