অক্টোবর ৪, ২০২৪, ০৭:০২ পিএম
বাংলাদেশকে এগিয়ে নিতে সর্বাত্মক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিম।
শুক্রবার (৪ অক্টোবর) বিকেলে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালের ক্রিস্টাল বলরুমে প্রধান উপদেষ্টা ড. মোহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক শেষে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এ আশ্বাস দেন মালেয়শিয়ার প্রধানমন্ত্রী।
আনোয়ার ইব্রাহিম বলেন, “আমাদের দেশে আরও জনশক্তি প্রয়োজন, তবে উভয় দেশের মধ্যে শ্রম অভিবাসন প্রক্রিয়ায় সচ্ছতা থাকতে হবে। এ ছাড়া সেমি কন্ডাক্টর, ডেটা সেন্টার, এআই, নিউ টেকনলোজির বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করার বিষয়ে সম্মত হয়েছি।”
তিনি আরও বলেন, “যেসব কর্মী মালয়েশিয়ায় ঝামেলায় পড়েছেন, প্রথম দফায় ১৮ হাজার ব্যক্তিকে সহায়তা দেয়ার বিষয়ে সম্মত হয়েছি। বাংলাদেশে যেসব মালয়েশিয়ান প্রতিষ্ঠান কাজ করছে তাদেরকেও সুবিধা দেয়ার বিষয়ে আশ্বাস দিয়েছি।”
আমাদের দেশে যেসব কর্মী আছেন তারা কাজ করবেন উল্লেখ করে মালেয়শিয়ার প্রধানমন্ত্রী বলেন, “তারা আধুনিক দাস নয়। এই বিষয়ে আমরা পরিস্কার ধারণা রাখি। তবে বিদেশি অনেক শ্রমিকদের বিরুদ্ধে ক্রিমিনাল চার্জ রয়েছে। তাদের বিষয়টা ভিন্ন। এই দুটো বিষয়কে এক না করার আহ্বান জানান তিনি।”
সংবাদ সম্মেলনে ড. মুহাম্মদ ইউনূস বলেন, “মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আমার পুরনো বন্ধু এবং বাংলাদেশেরও পুরনো বন্ধু। তার সফরে আমি খুবই খুশি। তার ওপর আমরা দায়িত্ব নেয়ার পর এটা প্রথম কোন সরকার প্রধানের বাংলাদেশ সফর। আশা করি দুই দেশের সম্পর্ক নতুন উচ্চতায় উপনীত হবে।”
বৈঠকে অর্থনৈতিক সহযোগিতা, রাজনৈতিক সম্পর্ক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ, শ্রম অভিবাসন, শিক্ষা, প্রযুক্তি, অবকাঠামোগত উন্নয়ন ও প্রতিরক্ষা সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থ সম্পর্কিত বিষয়গুলো প্রাধান্য পেয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টা আরও বলেন, “রোহিঙ্গা ইস্যু শুধু বাংলাদেশের একার সমস্যা না। এটা এখন বৈশ্বিক সমস্যা। নতুন যেসব শিশু জন্ম নিচ্ছে সে সংখ্যাও অনেক। তাদের ভবিষ্যৎ কী? তারপরও নতুন করে আরও রোহিঙ্গার অনুপ্রবেশ ঘটছে। পরিস্থিতি ক্রমেই জটিল হচ্ছে। এ বিষয়টি মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রীর সাথে আলোচনা করেছি। তিনিও গুরুত্ব বুঝেছেন। সমস্যার সমাধান আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের হাতে। আসিয়ান জোটে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন বিষয়ে মালয়েশিয়ার সক্রিয় সহযোগিতার আহ্বান জানানো হয়েছে।”