বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী পাঠানোর অনুরোধ মমতার

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ২, ২০২৪, ০৩:২১ পিএম

বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী পাঠানোর অনুরোধ মমতার

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু বিশেষ করে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের নিয়ে সরগরম রয়েছে ভারতের গণমাধ্যমগুলো। এরি মধ্যে বাংলাদেশ নিয়ে তীর্যক মন্তব্য করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

বাংলাদেশে সংখ্যালঘু ইস্যু ঘিরে, জাতিসংঘের নিয়ম মেনে যদি, বাংলাদেশে শান্তিরক্ষী পাঠানো যায়, তাহলে সেই ব্যবস্থা নেয়ার জন্য কেন্দ্রীয় সরকারের প্রতি মমতা অনুরোধ জানিয়েছেন।

বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মমতা বলেছেন, “রাষ্ট্রপুঞ্জের সঙ্গে এই বিষয়ে ভারত সরকার কথা বলুক, যাতে সেখানে তারা শান্তি বাহিনী পাঠাতে পারে। আমাদের এই বিষয়ে অনুরোধ রইলো।”

সোমবার দুপুরে বিধানসভার অধিবেশনে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, “বর্ডার সিকিউরিটি কেন্দ্রের আওতায়। আমাদের এক্তিয়ার বা দায়িত্বে নেই। আমরা হাউজের পক্ষ থেকে অনুরোধ জানাচ্ছি, প্রধানমন্ত্রী যেনো সংসদে বাংলাদেশের বিষয়ে কথা বলেন। যদি প্রধানমন্ত্রীর অসুবিধা থাকে কোনও ব্যাপারে, তাহলে বিদেশমন্ত্রী যেনো সংসদে বিবৃতি দিয়ে জানান যে কেন্দ্র এই বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।”

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমার দ্বিতীয় পরামর্শ যদি এ জাতীয় ঘটনা (সহিংসতার) ঘটতে থাকে তাহলে আমরা আমাদের লোকেদের ফিরিয়ে আনব। সরকার উদ্যোগ নেবে। তারা ফিরে আসলে থাকার, খাওয়ার কোনও সমস্যা হবে না। কোনও ভারতীয়ের উপর অত্যাচার হবে সেটা আমরা হতে দিতে পারি না।”

দুই দেশের মধ্যে বর্তমান টানাপোড়েনকে কেন্দ্র করে বাংলাদেশের সঙ্গে সীমান্তবর্তী অঞ্চলে যে উদ্বেগের আবহাওয়া রয়েছে, সেই আবহে সুরক্ষা নিশ্চিত করার বিষয়ে রাজ্য কী করতে পারে সে বিষয়ে কেন্দ্রের কাছ থেকে পরামর্শও চেয়েছেন মমতা।

আরও পড়ুন: আদানির চুক্তি পুনর্বিবেচনা করতে চায় বাংলাদেশ: জ্বালানি উপদেষ্টা

বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের গ্রেফতার ও সেদেশে সংখ্যালঘুদের ওপরে হামলার অভিযোগকে কেন্দ্র করে, গত কয়েকদিন ধরে দুই দেশের মধ্যে তীব্র টানাপড়েন চলছে। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে কলকাতা এবং সীমান্তবর্তী অঞ্চল-সহ রাজ্যের একাধিক অংশে বিক্ষোভ প্রদর্শনও হয়েছে।

অন্তর্বর্তী সরকারের স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত লেফটেন্যান্ট জেনারেল জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, পার্শ্ববর্তী দেশের গণমাধ্যম বাংলাদেশ নিয়ে অনেক মিথ্যা খবর প্রচার করে। বাংলাদেশে কোনো অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরি হয়নি। পার্শ্ববর্তী দেশের মিডিয়া আমাদের সম্পর্কে অনেক মিথ্যা প্রচার করে।

বাংলাদেশের গণমাধ্যম সত্য খবর প্রচারের মাধ্যমে তাদের ‘মিথ্যা প্রচারকে বন্ধ করতে পারে’ বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

Link copied!