সংসদ সদস্য হওয়ার পর জাতীয় দলের সাবেক ক্রিকেটার মাশরাফি বিন মুর্তজার আয় অর্ধেকেরও বেশি কমে যাওয়ার তথ্য মিলেছে। এই সময়ে তিনি নতুন কোনো সম্পদ গড়েননি। তবে সম্পদের মূল্য কিছুটা বেশি দেখিয়েছেন।
বাংলাদেশ জাতীয় ওয়ানডে ক্রিকেট দলের সাবেক এই অধিনায়কের একাদশ ও দ্বাদশ নির্বাচনের হলফনামা থেকে এসব তথ্য জানা গেছে। ২০১৮ সালের হলফনামায় মাশরাফির বার্ষিক আয় দেখানো হয়, এক কোটি ৯৯ লাখ ১৮ হাজার ৭০০ টাকা। এবার বার্ষিক আয় দেখানো হয়েছে ৮৮ লাখ ৫৪ হাজার ৪৫৮ টাকা। এর মধ্যে শেয়ার, সঞ্চয়পত্র ও ব্যাংক আমানত থেকে আয় বছরে ১৪ লাখ এক হাজার ৯৯৩ টাকা, সম্মানী ও ভাতা থেকে ২৩ লাখ তিন হাজার ২০ টাকা এবং অন্যান্য খাত থেকে আয় ৫১ লাখ ৪৯ হাজার ৪৮৫ টাকা। স্ত্রীর নামে নেই কোনো অস্থাবর ও স্থাবর সম্পত্তি। গচ্ছিত আছে ৫০ তোলা স্বর্ণ।
গতবারের চেয়ে এবার নগদ অর্থ প্রায় ৪৩ লাখ টাকা বেড়েছে মাশরাফির। গতবার নগদ অর্থ দেখানো হয় এক কোটি ৩৭ লাখ ৮০ হাজার টাকা। এবার দেখানো হয়েছে এক কোটি ৮০ লাখ ৫৪ হাজার ৪০২ টাকা।
গতবার মাশরাফির বাহন ও বাড়ির আসবাব যা ছিল, এবারও তাই দেখানো হয়েছে। তার বাহন হিসেবে আছে একটি প্রাইভেটকার, দুটি মাইক্রোবাস ও একটি জিপ (মূল্য এক কোটি ৭৫ হাজার সাত হাজার টাকা)। বাসার আসবাব আছে ১৮ লাখ ৮০ হাজার টাকার।
স্থাবর সম্পদ হিসেবে গতবার হলফনামায় যা ছিল, এবারও তা-ই দেখানো হয়েছে। এর মধ্যে আছে নিজ নামে তিন একর ৬১ শতাংশ জমি (অর্জনকালীন সময়ে এর মূল্য ৩৭ লাখ টাকা)। ঢাকার পূর্বাচলে একটি প্লট (অর্জনকালীন সময়ে এর মূল্য আট লাখ ২৪ হাজার টাকা)। মিরপুরে ফ্ল্যাট-বাড়ি (মূল্য ৪৭ লাখ ৫০ হাজার ও এক কোটি আট লাখ টাকা)।
হলফনামা অনুযায়ী, মাশরাফি বিন মোর্ত্তজার ২০১৮ সালে অস্থাবর সম্পদের মধ্যে ব্যাংকসহ বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠানে গচ্ছিত ছিল ছয় কোটি ৩৭ লাখ ২৯ হাজার ৫১ টাকা। এবার ব্যাংক, বন্ড, ঋণপত্র, পোস্টাল, সেভিংস, সঞ্চয়পত্র ও স্থায়ী আমানতে গচ্ছিত দেখানো হয়েছে তিন কোটি ৫২ লাখ চার হাজার ২২৯ টাকা। এর মধ্যে তিনটি ব্যাংকে গচ্ছিত আছে এক কোটি তিন লাখ ৭০ হাজার ৮৬০ টাকা এবং বন্ড, ঋণপত্রে দুই লাখ ৫০ হাজার টাকা। এ ছাড়া পোস্টাল ও সেভিংস সার্টিফিকেটসহ বিভিন্ন ধরনের সঞ্চয়পত্র বা স্থায়ী আমানতে বিনিয়োগ দুই কোটি ৪৫ লাখ ৮৩ হাজার ৩৬৯ টাকা। এ দিকে, সিটি ব্যাংক থেকে ঋণ (হোম লোন) নেওয়া আছে ৮৯ লাখ সাত হাজার ৭৭৫ টাকা।