নভেম্বর ১০, ২০২৩, ০৩:০৫ পিএম
নির্বাচনকে সামনে রেখে বাংলাদেশের চলমান রাজনৈতিক অবস্থা নিয়ে বিবৃতি দিয়েছেন ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্যরা। বাংলাদেশে গণতন্ত্র ফেরানোর আহ্বান এবং বিরোধীদলের সহিংসতার নিন্দা জানিয়েছেন ইউরোপিয়ান পার্লামেন্টের সদস্যরা।
ইইউ রিপোর্টারের রাজনৈতিক সম্পাদক নিক পাওয়েল লিখেছেন,বাংলাদেশ প্রধান বিরোধী দলগুলোর সমর্থকদের কারণে সহিংসতা মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে । জয়ের সম্ভাবনা নেই বলে তারা নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ।
ইইউ-বাংলাদেশ সম্পর্ক জোরদারে কাজ করা নেতৃস্থানীয় একটি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক এমইপিদের (মেম্বার অব ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট) গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার জন্য হুমকিস্বরূপ সহিংসতার নিন্দা করার আহ্বান জানিয়েছে।
ইউরোপীয় পার্লামেন্টে “ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যান রাইটস ইন বাংলাদেশ”- শীর্ষক ব্রিফিংয়ে এমইপি এবং তাদের সহযোগীদের উদ্দেশ্যে বক্তব্য রাখেন যুক্তরাজ্যভিত্তিক বাংলাদেশি থিঙ্ক ট্যাঙ্ক স্টাডি সার্কেল লন্ডনের চেয়ারম্যান সৈয়দ মোজাম্মেল আলী। তিনি রাজধানী ঢাকায় বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল ও জামায়াতে ইসলামীর কর্মীদের দ্বারা সংঘটিত সহিংসতার নিন্দার আহ্বান জানান।
সম্প্রতি ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ আয়োজিত সমাবেশের ভিত্তিতে বিএনপির সমাবেশের অনুমতি দেয়।জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে বিভিন্ন দলের সমর্থনে এ ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড গণতন্ত্র চর্চার স্বাভাবিক অংশ হওয়া উচিত। যদিও বিএনপির সমাবেশ সংঘর্ষে পরিণত হয়।
বিএনপির এ সমাবেশে সংঘর্ষে ব্যাপক অগ্নিসংযোগ ও ভাঙচুর করা হয়। এতে অন্তত এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং আরও অনেকে আহত হন। কয়েকটি শহরে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। এসব জায়গায় পুলিশের ওপর আরও হামলা, গাড়িতে আগুন এবং ভাংচুরের ঘটনা ঘটে।
মোহাম্মদ আলী এসব ঘটনাকে ২০১৪ এবং ২০১৮ সালের নির্বাচনের আগে বিএনপি এবং তার দোসররা যে সন্ত্রাসবাদের জন্ম দিয়েছিল তার সাথে তুলনা করেন।
সেই সাথে তিনি বাংলাদেশে গণতন্ত্রকে সমর্থন করার জন্য এবং সহিংসতার নিন্দা জানানোর জন্য এমইপিদের আহ্বান জানান।