ডিসেম্বর ১২, ২০২৫, ০৪:৪৬ পিএম
ঢাকা ম্যাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেডের (ডিএমটিসিএল) নিয়মিত কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ‘স্বয়ংসম্পূর্ণ চাকরি-বিধিমালা’ সময়মতো প্রণয়ন ও প্রকাশ না হওয়ায় পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী সর্বাত্মক কর্মবিরতি শুরু করেছেন। এই কারণে শুক্রবার কোনো ট্রেন চলাচল করেনি।
বেলা ৩টা থেকে ডিএমটিসিএল প্রধান কার্যালয় (দিয়া বাড়ি, উত্তরা) সামনে আন্দোলনরত কর্মীরা এমডি ফারুক আহমেদকে তাঁর কক্ষে অবরুদ্ধ রাখেন। পরে সেনা সদস্যদের উপস্থিতিতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়।
কর্মকর্তা আকরাম হোসেন বলেন, “আমরা সর্বাত্মক কর্মবিরতিতে আছি। আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত এটি চলবে।”
মেট্রোরেলের উপপ্রকল্প পরিচালক মো. আহসান উল্লাহ জানিয়েছেন, “এখনকার বিষয় নিয়ে উর্ধতন কর্মকর্তাদের সঙ্গে কথা বলতে হবে।”
২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত ডিএমটিসিএল এখনও ৯০০-এর বেশি কর্মকর্তা-কর্মচারীর জন্য স্বতন্ত্র চাকরি-বিধিমালা চূড়ান্ত করতে পারেনি। ২০২২ সালের বাণিজ্যিক অপারেশন শুরুর পর থেকে কর্মচারীরা ছুটি, সিপিএফ, গ্র্যাচুইটি, শিফট-অ্যালাউন্স/ওভারটাইম, গ্রুপ ইনস্যুরেন্সসহ নানাধরনের সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
কর্মচারীদের অভিযোগ, ২০২৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর উপদেষ্টা কমিটির নির্দেশনা অনুযায়ী ৬০ কর্মদিবসের মধ্যে চাকরি বিধি প্রণয়নের কথা থাকলেও তা বাস্তবায়িত হয়নি। ২০২৫ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কর্তৃপক্ষ ২০ মার্চের মধ্যে চূড়ান্ত করার আশ্বাস দিলেও নয় মাস পেরিয়ে গেলেও কিছুই হয়নি।
কর্মচারীরা দাবি করছেন, বিশেষ বিধানের সঙ্গে মেট্রোরেল প্রকল্পসমূহের জনবলকে ডিএমটিসিএলে আত্মীকরণের বিষয় জড়িত থাকায় এটি বাংলাদেশের আইন ও সুপ্রিম কোর্টের রায়ের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তারা বলছেন, এই কর্মসূচির সম্পূর্ণ দায় ডিএমটিসিএল কর্তৃপক্ষকেই নিতে হবে।