বেইলি রোডে ভবনে অগ্নিকাণ্ড

ইতালি প্রবাসীর পরিবারে আর কেউ বেঁচে নেই, খেতে গিয়েছিলেন রেস্তোরাঁয়

নিজস্ব প্রতিবেদক

মার্চ ১, ২০২৪, ০৬:৪৭ এএম

ইতালি প্রবাসীর পরিবারে আর কেউ বেঁচে নেই, খেতে গিয়েছিলেন রেস্তোরাঁয়

ছবি: সংগ্রহীত

ইতালি প্রবাসী সৈয়দ মোবারক। দেশে ছুটিতে এসেছিলেন। কিছুদিন পরই ইতালি ফিরে যাওয়ার কথা ছিল তাঁর। রাজধানীর বেইলি রোডে বহুতল ভবনে অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে মারা গেছেন তিনি। শুধু  তিনিই নন, দগ্ধ হয়ে মারা গেছেন তাঁর স্ত্রীসহ তিন সন্তানের।

নিহতরা হলেন মোবারকের স্ত্রী স্বপ্না আক্তার, মেয়ে সৈয়দা তুজ জোহরা (১৯), আমিনা আক্তার (১৩) ও ছেলে আবদুল্লাহ (৮)। শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে মোবারকের মেয়ে আমিনার মরদেহের সামনে ভিড় করেন স্বজনেরা। 

মোবারকের স্ত্রী স্বপ্না আক্তারের খালাতো বোন আয়েশা আক্তার বলেন, ঢাকা মেডিকেলের মর্গে চারজন এবং বার্ন হাসপাতালে একজনের মরদেহ রয়েছে। সবাইকে তাঁদের গ্রামের বাড়ি ব্রাহ্মণবাড়িয়ার শাহবাজপুরে দাফন করা হবে। ঢাকার মধুবাগে তাঁদের নিজস্ব ফ্ল্যাট রয়েছে।

তিনি আরও বলেন, তাঁদের পরিবারে আর কেউ বেঁচে নেই। পাঁচজনের সবাই মারা গেলেন। মোবারক কিছুদিন পরে চলে যেতেন। তাই সবাই মিলে খেতে বের হয়েছিলেন। এক মেয়ের এসএসসি পরীক্ষা চলছিল। সবারই ভিসা প্রক্রিয়া হচ্ছিল ইতালি যাওয়ার জন্য।

গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাজধানীর বেইলি রোডের গ্রিন কোজি কটেজ নামক এক বহুতল ভবনে গতকালে রাত ৯টা ৫০ মিনিটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে এ পর্যন্ত মৃত্যুবরণ করেছেন ৪৬ জন। আরো ১২ জন ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও শেখ হাসিনা বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারী ইউনিটে ভর্তি আছেন । সকলের অবস্থাই আশঙ্কাজনজক।

জানা যায়, বেইলি রোডের বহুতল ভবনটিতে কাচ্চি ভাই, ক্যাফে ফেমাস , শেইক্যাহোলিক সহ নানা রেঁস্তোরা ছিলো যাতে প্রতিদিন সন্ধ্যায় রাজধানীবাসীরা বাহারী পদের খাবার খেতে ভিড় করতেন। এ ছাড়াওয় নিচ তলায় মোবাইল সামগ্রী ও একটি কাপড়ের দোকান ছিলো। সাত তলা ভবনটির প্রায় প্রত্যেক তলায় ঝুঁকিপূর্ণভাবে গ্যাসের সিলিন্ডার ছিলো। ফায়ার সার্ভিসের ধারণা, ভবনটির নিচতলা থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে।

রাত ৯টা ৫০ মিনিটে আগুনের সূত্রপাত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ১২ টি ইউনিটের প্রায় ২ ঘন্টার প্রচেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রনে আসে।

Link copied!