মার্চ ৫, ২০২৪, ০২:৩৮ পিএম
দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণসহ বেশ কয়েকটি বিষয়ে সচিবদের সতর্ক থাকার নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। আসন্ন রোজা ও ঈদকে সামনে রেখে এসব নির্দেশ দেওয়া হয়। দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণ ছাড়াও আরও যেসব বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে সেগুলো হলো আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি, যানজট, বিদ্যুৎ ও গ্যাস সরবরাহ প্রভৃতি।
মঙ্গলবার (৫ মার্চ) এসব বিষয় নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক সভায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বরাত দিয়ে এসব বিশেষ নির্দেশনা তুলে ধরেন তার মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া। এ সময় নিজ নিজ বিভাগের পরিকল্পনা তুলে ধরেন বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের সচিবরা। রোজায় কোনোভাবেই যাতে দ্রব্যমূল্য না বাড়ে সেদিকে নজরদারি বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য সচিবকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি পণ্যের মজুতদারি রোধে সংশ্লিষ্ট সবাইকে সজাগ থাকা প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ারও নির্দেশনা রয়েছে।
আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির যাতে অবনতি না ঘটে, সে বিষয়ে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে বলা হয়েছে। ইফতার-সেহরিতে গ্যাস ও বিদ্যুৎ সরবরাহ স্বাভাবিক রাখতে বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক শেষে প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া বলেন, ‘বিগত বছরগুলোর চেয়ে এবারের রোজায় দেশে অনেক বেশি খাদ্য ও নিত্যপণ্যের মজুদ আছে। এছাড়া পর্যাপ্ত খাদ্যশস্য ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য বাজারে আছে। রোজার প্রস্তুতি আমরা যথাযথভাবে নিতে পেরেছি। যখন যার যা প্রয়োজন তা নিলে কারও কোনো সমস্যা হবে না। আমরা খুব ভালোভাবে রোজা ও ঈদ উদযাপন করতে পারব।’
তিনি আরও বলেন, ‘রোজার সময় নিত্যপণ্য যাতে মানুষের কাছে পৌঁছায়, সরবরাহ-শৃঙ্খল যাতে ঠিক থাকে, সেজন্য আমরা সবাইকে নির্দেশনা দিয়েছি। স্বল্পআয়ের মানুষের জন্য সরকার খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি নিয়েছে। ওএমএস কর্মসূচি ও টিসিবির মাধ্যমে রোজা ও ঈদ ঘিরে দুই কিস্তিতে এবার খাদ্যপণ্য সরবরাহ করা হবে। তেল, চিনি, ডাল, ছোলা, পেঁয়াজ ও খেজুর আমরা দু`বার করে এককোটি মানুষকে দেবো।’
রোজায় মানুষের কষ্ট লাঘবে প্রধানমন্ত্রীর এসব নির্দেশনা বাস্তবায়নের জন্য সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি আহ্বান জানান মুখ্য সচিব। এছাড়া সহজে টিকিটপ্রাপ্তি নিশ্চিত করা, মহাসড়কে শৃঙ্খলা রক্ষা করা, ঈদের আগে রাস্তা ও সেতু সংস্কার, নৌপথে ফেরি বাড়ানো, অতিরিক্ত যাত্রী পরিবহন ঠেকানো, আকাশপথে অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট বাড়ানো এবং গার্মেন্টস ও পাটকল শ্রমিকদের বেতনের বিষয়ে সভায় আলোচনা হয়।