বিএনপির সমাবেশ ঘিরে সংঘর্ষের ঘটনায় কয়েকটি মামলা মাথায় নিয়ে দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী নিয়মিত ঝটিকা মিছিল এবং লিফলেট বিলি করে চললেও পুলিশ তার খোঁজ পাচ্ছে না।
ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ বলছেন, রিজভীকে তারা এখনও ‘খুঁজছেন’।
রবিবার (৩১ ডিসেম্বর) দুপুরে তার কার্যালয়ে গণমাধ্যমকর্মীদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীকে কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে না জানতে চাইলে হারুন গণমাধ্যমকর্মীদের বলেন, ‘আমরা তো জানি সে অসুস্থ। একজন অসুস্থ মানুষ, তারপরও মাঝে মাঝে হঠাৎ করে তিনি যেসব কথা বলেন, সেগুলো আমরা আসলে তদন্ত করছি। আমরা খুঁজছি তাকে, কারণ তার বিরুদ্ধে অনেকগুলো মামলা আছে। আমরা তাকে খুঁজছি এবং আমরা শিগগির তাকে গ্রেফতার করব।’
তিনি আরও বলেন, ‘উনি (রিজভী) হঠাৎ করে বের হয়ে যে ধরনের কথা বলেন, এটা সংবিধানবিরোধী, রাষ্ট্রবিরোধী, দেশবিরোধী। উনি লিফলেট বিতরণ করছেন আর মানুষকে বলছেন, লিফলেট দেখলেই বুঝবেন সেখানে কী ধরনের কথা বলা আছে। এটা উনার মতো একজন মানুষ বলতে পারেন না।’
ডিবি প্রধান আরও বলেন, বিএনপি নেতাকর্মীরা ২৮ অক্টোবরের পর থেকে একদিকে তারা যানবাহন ভাঙচুর, বোমা বিস্ফোরণ, রেলের বগিতে আগুন, রেলের স্লিপার চুরি করে দুর্ঘটনায় ফেলে দেওয়া, অনেক জঘন্য কাজ তারা করছে। তাদের উদ্দেশ্য জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে নির্বাচনের পরিবেশ ভণ্ডুল করা।
‘তারা কিন্তু সে কাজটি করেছে, অনেকগুলো গাড়িতে আগুন লাগিয়েছিল, আমাদের পুলিশ সদস্যকে তারা হত্যা করেছিল, প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা করেছিল। সব কিছু করেও যখন দেখল মানুষ নির্বাচনমুখী। তফসিল অনুযায়ী মানুষ নির্বাচনী আমেজে ব্যস্ত হয়ে পড়েছে, তখন তারা বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে যেটা করল, বিভিন্ন জায়গায় তারা প্রোপাগান্ডা ছড়াচ্ছে যে, নির্বাচন যে কোনো সময় বন্ধ হয়ে যাবে,’ বলেন হারুন।
তিনি আরও বলেন, ‘আপনারা কর পরিশোধ করবেন না, কেন্দ্রে যাবেন না এমন বিভিন্ন ধরনের কুমন্ত্রণা দিয়ে যাচ্ছেন তারা, যেটা আমি মনে করি সংবিধানবিরোধী।’
হারুন বলেন, ‘এখন যারা বিভিন্ন ধরনের প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে বিভিন্ন ধরনের লিফলেট বিতরণ করছে; তারা ককটেল বিস্ফোরণ করছে, বিভিন্ন জায়গা থেকে গানপাউডার নিয়ে আসছে, আমরা সেগুলো উদ্ধার করেছি। এ ধরনের প্রোপাগান্ডা ছড়িয়ে নির্বাচন কমিশনের বিরুদ্ধে গিয়ে মানুষকে কুমন্ত্রণা দিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ বিনষ্ট করার যে অপচেষ্টা, আমরা আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নির্বাচন কমিশনের দিক-নির্দেশনা অনুযায়ী কখনোই এ ধরনের অপচেষ্টাকে বরদাস্ত করব না।’
তিনি বলেন, ‘সে লক্ষ্যে আমাদের অভিযান চলমান। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ঢাকা ও আশে পাশের এলাকায় একদিকে গোয়েন্দা তথ্য সংগ্রহ করছে, যারা নির্বাচনী পরিবেশ ভণ্ডুল করার চেষ্টা করছে। অনেককে আমরা আইনের আওতায় নিয়ে এসেছি, বাকি যারা আছে তাদের নাম-নম্বর আমরা পেয়েছি, তাদেরকে আমরা শিগগির গ্রেফতার করব।’