পুলিশ কনস্টেবলের কোটি টাকার সম্পদ!

জাতীয় ডেস্ক

জুন ২২, ২০২৪, ১০:২৪ এএম

পুলিশ কনস্টেবলের কোটি টাকার সম্পদ!

মেহেদী হাসান

কনস্টেবল পদে ২০০৬ সালে যোগ দিয়ে প্রায় কোটি টাকার সম্পদের পাহাড় গড়ার অভিযোগ উঠেছে জয়পুরহাটের মেহেদী হাসানের বিরুদ্ধে। দেশের একটি শীর্ষস্থানীয় বেসরকারি টেলিভিশনের অনুসন্ধানে বিষয়টি উঠে এসেছে। তিনি বর্তমানে নাটোর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে দায়িত্বরত রয়েছেন।

স্থানীয়দের অভিযোগ, পুলিশের চাকরিতে যোগদানের পর থেকেই পাল্টে যেতে থাকে মেহেদীর জীবনযাত্রা। কয়েক বছরের ব্যবধানেই গ্রামে তুলেছেন পাকা বাড়ি, কিনেছেন ধানী জমিও। এলাকায় দেখিয়ে যাচ্ছেন ক্ষমতার দাপট।

জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৬২ লাখ টাকার তথ্য পেয়ে মেহেদী হাসানের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়। এই তদন্ত বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে
- মো. মনিরুজ্জামান
উপপরিচালক
দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক), রাজশাহী

কনস্টেবল পদে চাকরি করেই তার এমন আঙুল ফুলে কলাগাছ বনে যাওয়া নিয়ে কানাঘুঁষা চলছে। এরই মধ্যে তার জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদের অনুসন্ধানে মাঠে নেমেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। অভিযানে অনিয়মের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন পুলিশের উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।

অভিযোগ রয়েছে, মেহেদী হাসানের নামে মোট ৯১ লাখ ২৪ হাজার ২৫৪ টাকার অস্থাবর ও স্থাবর সম্পদ রয়েছে। ঋণ রয়েছে ৯ লাখ ৩০ হাজার ৮৭০ টাকার।

অনিয়মের প্রমাণ পেলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে
- আনিসুর রহমান
ডিআইজি, রাজশাহী রেঞ্জ

স্থানীয়রা জানায়, পুলিশের একজন কনস্টেবল হয়ে অল্প কয়েক বছরের মধ্যেই প্রায় ১৫ বিঘা জমি কিনেছেন মেহেদী। সেই সঙ্গে বাড়িতে পাকা বাড়িও করেছেন। ক্ষমতার নানা অপব্যবহারও করে আসছেন চাকরির পর থেকে।

এরই মধ্যে মেহেদীর জ্ঞাত আয় বহির্ভুত সম্পদের খোঁজে দুদকের অভিযান শুরু হয়েছে। রাজশাহী বিভাগের দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুজ্জামান বলেন, “জ্ঞাত আয় বহির্ভূত ৬২ লাখ টাকার তথ্য পেয়ে মেহেদী হাসানের বিষয়ে তদন্ত শুরু হয়। এই তদন্ত বর্তমানে প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।”

যেকোনও পুলিশ সদস্যের বিরুদ্ধে অনিয়মের প্রমাণ পেলে ব্যবস্থার আশ্বাস দিয়েছেন কর্মকর্তারা। রাজশাহী রেঞ্জের ডিআইজি আনিসুর রহমান বলেন, “অনিয়মের প্রমাণ পেলে আইন অনুযায়ী পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।”

Link copied!