শেখ হাসিনা কখনও দেশ বিক্রি করে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় তিনি অভিযোগ করেন, “যারা বলে, বাংলাদেশকে ভারতের কাছে বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে, তারা নিজেরাই বিক্রি হয়ে গেছে।”
মঙ্গলবার (২৫ জুন) গণভবনে ভারত সফর পরবর্তী সংবাদ সম্মেলনে এই কথা বলেন তিনি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, “যারা দেশ বিক্রির কথা বলেন, তারা পাকিস্তানের দালালি করেছেন।”
তিনি পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, “আমরা অর্থনীতির জন্য দরজা বন্ধ করে বসে থাকবো? প্রত্যেকটা স্বাধীন দেশ, সোভরেইন (সার্বভৌম) দেশ একে অপরের সঙ্গে ব্যবসা-বাণিজ্য করে থাকে। তাহলে দক্ষিণ এশিয়ার ক্ষেত্রে কেন এই প্রশ্ন উঠবে?”
গণভবনে দেশ টিভির স্পেশাল করেসপন্ডেন্ট শামীমা আক্তার প্রশ্ন করেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় সমালোচনা হচ্ছে যে ভারতের কাছে বাংলাদেশ বিক্রি করে দেওয়া হচ্ছে। এটা তাদের মুখোরোচক গল্প। সেই গল্পের বিষয়ে আপনার কাছে জানতে চাই?
প্রধানমন্ত্রী এ সময় পাল্টা প্রশ্ন তোলেন, “আমার একটা প্রশ্ন আছে। বিক্রিটা, তাহলে ওজনটা কীসে মাপছে? কোনো কিছু বিক্রি হলে ওজন মাপা হয় না? এখন তো অনেক ইলেক্ট্রনিক মেশিন আছে, আগে তো দাঁড়িপাল্লায় হতো। তো কীসে মেপে বিক্রি হচ্ছে? আর বিক্রিটা হয় কীভাবে?”
সংবাদ সম্মেলনে টিভি টুডের প্রধান সম্পাদক এবং বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি মঞ্জুরুল আহসান বুলবুলের তিস্তা চুক্তি সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে শেখ হাসিনা বলেন, “তিস্তায় আমরা প্রজেক্ট নিয়েছি। তিস্তা নদীটাকে ড্রেজিং করা বা বাঁধানো, পানি সংরক্ষণ- এই সব বিষয়, সেটা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তিস্তা ও গঙ্গার জন্য, বিশেষ করে গঙ্গা চুক্তির মেয়াদ ২০২৬ সালে শেষ হবে। তবে এটা যদি নবায়ন না হয়, চুক্তি কিন্তু অব্যাহত থাকবে।”
আরও পড়ুন: তিস্তা-গঙ্গার পানি দিতে আপত্তি মমতার, ভারত জুড়ে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি
তিনি আরও বলেন, “এখানে যেহেতু চুক্তির মেয়াদটা শেষ হবে ৩০ বছর মেয়াদী চুক্তি আমরা করেছিলাম, তো এটা (ভারতের) প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি বলেছেন, এবং আমরা এটাই যে একটা টেকনিক্যাল গ্রুপ করা হবে।”
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রসঙ্গ উঠলে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যেটা বলেছেন, হ্যাঁ, এটা তার ক্ষোভ তার সঙ্গে আলোচনা করা হয়নি কেন? তিনি তো ছিলেন না দিল্লিতে। আমি নিজেই যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছি। তখন ছিলেন না। তার যে ফোন নম্বর ছিল, তাতেও ফোন করার চেষ্টা করেছি। পশ্চিমবঙ্গে যখন তিনি জয়ী হলেন, তখনও তাকে ফোন করার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পরে শুনছি, সেই নম্বর তিনি ব্যবহার করেন না।”