দেশে শহরের চেয়ে গ্রামে বেশি হচ্ছে বিয়ে। একইসঙ্গে তালাকের দিক থেকেও এগিয়ে রয়েছে গ্রামের লোকজন।
বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) ‘বাংলাদেশ স্যাম্পল ভাইটাল স্ট্যাটিসটিকস-২০২৩’ প্রতিবেদনে এ তথ্য উঠে এসেছে।
বিবিএসের প্রতিবেদনে দেখা যায়, শহরে বিয়ের হার কম। ২০২৩ সালে শহরে বিয়ের হার ছিল প্রতি হাজারে ১২টি। আর গ্রামে এই হার ছিল ১৬ দশমিক ৮। এছাড়া ২০২২ সালে শহরে বিয়ের হার ১৩ দশমিক ৮ শতাংশ এবং গ্রামে বিয়ের হার ১৯ দশমিক ৫ শতাংশ ছিল। ২০২২ সালের তুলনায় ২০২৩ সালে বিয়ের পরিমাণ শহর গ্রাম উভয় এলাকাতেই কমেছে।
গ্রামে শুধু বিয়ে নয়, বিবাহ বিচ্ছেদের হারও বেশি। ২০২৩ সালে গ্রামে ডিভোর্সের হার ছিল ১ দশমিক ১ শতাংশ। শহরে ডিভোর্সের হার ছিল শূন্য দশমিক ৯ শতাংশ।
এ ছাড়া ২০২২ সালে গ্রামে বিচ্ছেদের হার ১ দশমিক ৪ শতাংশ এবং শহরে এই হার ১ শতাংশ ছিল।
২০২২ সাল থেকে ২০২৩ এ ডিভোর্সের হার কমলেও, দুই বছরেই গ্রামেই বেশি পরিমাণ বিচ্ছেদের ঘটনা ঘটেছে।
তালাক, বিচ্ছেদ বা ডিভোর্সের কারণ হিসেবে বিয়েবহির্ভূত সম্পর্ক, দাম্পত্যজীবন পালনে অক্ষমতা, পারিবারিক চাপ, শারীরিক নির্যাতন, যৌন অক্ষমতা বা অনীহা ইত্যাদি রয়েছে বলে জানিয়েছে সরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিবেদন অনুযায়ী, ২০২২ সালে দেশে সমন্বিত বিয়ের হার ছিল ১৮ দশমিক ১ শতাংশ। ২০২৩ সালে তা কমে ১৫ দশমিক ৭ শতাংশে দাঁড়িয়েছে। অর্থাৎ এক বছরের ব্যবধানে বিয়ের হার কমেছে ২ দশমিক ৪ শতাংশ।
পাশাপাশি তালাকের হারও কমেছে। দেশে ২০২২ সালে সমন্বিতভাবে তালাকের হার ছিল ১ দশমিক ৪ শতাংশ। ২০২৩ সালে সবমিলিয়ে ডিভোর্সের পরিমাণ কমে হয়েছে ১ দশমিক ১ শতাংশ।
প্রাপ্তবয়স্ক হলেও দেশের পুরুষরা ৩৫.৮ ভাগ অবিবাহিত। এদের কখনো বিয়ে হয়নি। এটি ২০২৩ সালের অবস্থা। ২০২২ সালেও ছিল একই চিত্র। নারী মধ্যে বর্তমানে ২১ দশমিক ৭ ভাগ কখনো বিয়ে হয়নি। ২০২২ সালে এর হার ছিল ২১ দশমিক ৯ শতাংশ। অর্থাৎ বিয়ের দিক থেকে পুরুষের চেয়ে এগিয়ে নারীরা।