মানুষ পুড়িয়ে কীসের রাজনীতি প্রশ্ন টিআইবির

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩, ০৬:৫৬ পিএম

মানুষ পুড়িয়ে কীসের রাজনীতি প্রশ্ন টিআইবির

সংগৃহীত ছবি

আন্দোলনের নামে মানুষ পোড়ানোর অধিকার কোনো রাজনৈতিক দলের নেই। এসব কর্মকাণ্ড গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আন্দোলন হিসাবে বিবেচিত হতে পারে না।

মঙ্গলবার (১৯ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে ট্রেনে আগুন দিয়ে চার জনকে পুড়িয়ে মারার ঘটনায় এক বিবৃতিতে এ কথা বলেছে দুর্নীতি বিরোধী সংস্থা ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশ (টিআইবি)।

জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে এর আগে গণপরিবহনে আগুন, ট্রেনের লাইন কেটে ফেলার মতো এসব ঘটনা ঘটেছে। এটি কোনোভাবেই গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা, ভোটের অধিকারের দাবিতে আন্দোলন হিসাবে বিবেচিত হতে পারে না বলে মনে করেন টিআইবির নির্বাহী পরিচালক ড. ইফতেখারুজ্জামান।

বিবৃতিতে তিনি বলেন, মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের তিনটি বগিতে দুর্বৃত্তদের দেওয়া আগুনে মা ও শিশুসহ চারজনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনাকে বিচ্ছিন্ন বিষয় হিসেবে দেখার সুযোগ নেই। 

টিআইবির নির্বাহী পরিচালক প্রশ্ন তোলেন, মানুষ পুড়িয়ে কীসের রাজনীতি? ক্ষমতা কি মানুষের জীবনের থেকে বেশি মূল্যবান? 

তিনি মনে করেন, মৃতদেহ নিয়ে রাজনীতির অধিকার কোনো রাজনৈতিক দলের নেই। মানুষকে জিম্মি, অনেক ক্ষেত্রে লাশকে সিঁড়ি হিসাবে ব্যবহার করে রাষ্ট্রক্ষমতা দখল বা দলীয় এজেন্ডা হাসিল দেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। দুই রাজনৈতিক প্রভাব বলয়ের সব মহলের কাছে দাবি, নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠ গরম বা দখলের নামে মানুষের জীবননাশের রাজনীতি থেকে বের হয়ে আসুন। অগণতান্ত্রিক শক্তির বিকাশের পথ থেকে সরে আসুন।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, চলমান আন্দোলনের মধ্যে এসব ধারাবাহিক নৃশংসতার দায় আন্দোলনরত দলগুলো এড়াতে পারে না। আবার, এর পেছনে সরকারি মদদ রয়েছে বলে অভিযোগ মিথ্যা হলে, তা প্রমাণের দায়িত্ব সরকারের ও সংশ্লিষ্ট রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানের।

বিবৃতিতে ড. ইফতেখারুজ্জামান বলেন, আমরা সত্যিকারের অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন চাই। নৃশংসতার সুযোগ সন্ধানী রাজনীতি জনগণের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠা বা অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের দাবি আদায়ের পথ হতে পারে না। অন্যদিকে সহিংসতা প্রতিরোধের নামে বলপ্রয়োগ, সংগঠনের স্বাধীনতা, মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে ক্ষুণ্ন করা, ঢালাও ধরপাকড়, বিনা বিচারে মানুষ জেল খাটবে, তা-ও কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা ‘সহিংসতা প্রতিরোধ ও নিয়ন্ত্রণ চাই। সহিংসতার বিচার চাই। কিন্তু বিচার নিয়ে রাজনীতি দেখতে চাই না।

Link copied!