আমি বাবা-মায়ের শত আদরের মেয়ে
আমি বড় হই সকলের ভালোবাসা নিয়ে...
মিষ্টি এই গান কোথায় ব্যবহৃত হয়, তা নিশ্চয়ই আর বলে দিতে হবে না। তারপরও বলছি, আমাদের সবার প্রিয় মীনা কার্টুন ছবির গান এটি। যারা কার্টুন ছবিটি দেখেছে, তারা জানে কার্টুনের প্রতিটি পর্বের শেষে গানটি বেজে ওঠে।
কার্টুনের প্রধান চরিত্র মীনা সবার খুব প্রিয়। দক্ষিণ এশিয়ার মেয়েশিশুদের একান্ত পরিচিত প্রতীক হচ্ছে মীনা। সে হচ্ছে সমাজ পরিবর্তনের প্রতিনিধি। নয় বছরের মেয়েটির কাজই হলো কিসে সবার ভালো হবে, তা দেখা। মীনার জন্ম ১৯৯২ সালে।
যদিও দক্ষিণ এশিয়া, আফ্রিকা ও পূর্ব এশিয়ার বিভিন্ন দেশে ১৯৯৮ সাল থেকে ‘মীনা দিবস’ পালন করা হয় ২৪ সেপ্টেম্বর।
মেয়েদের স্কুলে পাঠানোকে উৎসাহিত করতে ১৯৯৩ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে প্রথম প্রচারিত হয় মীনা কার্টুনের ওই পর্বটি। তবে এত বছর পরের চিত্র জানান দিচ্ছে এই ‘মীনা’দের জয়জয়কার।
জাতিসংঘ শিশু তহবিল বা ইউনিসেফ দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মেয়েদের শিক্ষাসহ সব ধরনের বৈষম্যের বিরুদ্ধে সচেতনতা সৃষ্টিতে নব্বই দশকে ‘মীনা’ নামের ধারাবাহিক কার্টুন চলচ্চিত্র তৈরি করে। মীনা হলো এই ধারাবাহিকের কেন্দ্রীয় চরিত্র। মীনা ৯ বছরের একটি মেয়ে, যে শিক্ষার অধিকার চায়, সব ধরনের প্রতিবন্ধকতার বিরুদ্ধে লড়াই করে।
এ বছর ২৪ সেপ্টেম্বর রবিবার হওয়ায় শ্রেণি কার্যক্রম ও দাপ্তরিক কাজ নির্বিঘ্নে পরিচালনার স্বার্থে বাংলাদেশে ২৩ সেপ্টেম্বর শনিবার মীনা দিবস পালনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
শুক্রবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানিয়েছেন প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ তথ্য কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান তুহিন।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, এ বছর দিবসটির প্রতিপাদ্য বিষয় ‘স্মার্ট শিশু, স্মার্ট বাংলাদেশ’ এবং প্রতিপাদ্য স্লোগান ‘স্মার্ট বিদ্যালয় আর স্মার্ট শিক্ষা সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার দীক্ষা’।
দিবসটি উপলক্ষে বিস্তারিত কর্মসূচি গ্রহণ করেছে প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তর।