আবারও দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে চট্টগ্রাম ওয়াসা। শতভাগ সরবরাহ নিশ্চিত না করেই এই প্রস্তাব দিয়েছে তারা। তবে এই প্রস্তাবের অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় গ্রাহকরা। তাদের অভিযোগের জবাব দিয়ে ওয়াসা কর্তৃপক্ষ জানায়, উন্নয়ন প্রকল্পের ঋণের টাকা শোধের জন্যই দাম বাড়ানোর প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।
এদিকে ওয়াসার বারবার পানির দাম বাড়ানোর সমালোচনা করে বিশিষ্টজনরা বলছেন, ‘শতভাগ চাহিদা পূরণ না করে পানির দাম বাড়ানো অযৌক্তিক।’
এর আগে সবশেষ ২০২২ সালের সেপ্টেম্বরে পানির দাম ৩৮ শতাংশ বাড়িয়েছিল চট্টগ্রাম ওয়াসা। তখন আবাসিকে ৩৮ শতাংশ ও বাণিজ্যিকে ১৬ শতাংশ দাম বাড়ায় তারা। তবে এখনও শতভাগ সুপেয় পানির সরবরাহ নিশ্চিত হয়নি। এ অবস্থায়ই আবারও পানির দাম ৬১ শতাংশ বাড়ানোর প্রস্তাব দিয়েছে ওয়াসা। এর মধ্যে আবাসিকে ২০ ও বাণিজ্যিক খাতে ৫৯ দশমিক ৭০ শতাংশ বাড়ানো হবে।
দাম বাড়ানোর পেছনে যুক্তি দেখিয়ে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম ফজলুল্লাহ বলেন, ‘প্রতি হাজার লিটার পানির বর্তমান দাম ৩২ টাকা। সেখানে গ্রাহকদের কাছ থেকে নেওয়া হয় ১৮ টাকা। এ কারণে সঠিকভাবে বেতনের খরচ মেটানো, প্রকল্পের টাকা পরিশোধ করার জন্য পানির দাম বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া লাগছে।’
চট্টগ্রামবাসীর অভিযোগ, ওয়াসা দীর্ঘদিন ধরে ময়লা ও দুর্গন্ধযুক্ত পানি সরবরাহ করছে, যা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে। দেশের একটি বেসরকারি টেলিভিশনকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে সচেতন নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক আখতার কবির চৌধুরী বলেন, ‘এদিকটায় সরকারের নজর দেওয়া প্রয়োজন।’