পাহাড়ের ঘটনাকে কেন বড় ইস্যু বানানো হচ্ছে, প্রশ্ন আইজিপির

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২৫, ০২:০০ পিএম

পাহাড়ের ঘটনাকে কেন বড় ইস্যু বানানো হচ্ছে, প্রশ্ন আইজিপির

ছবি: সংগৃহীত

পাহাড়ি এক কিশোরীকে ধর্ষণের ঘটনায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের পরও কেন ইস্যুটি বড় করা হচ্ছে; তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। আজ মঙ্গলবার পুলিশ সদর দপ্তরে এক সংবাদ সম্মেলনে এ প্রশ্ন তোলেন তিনি।

আইজিপি বলেন, পাহাড়ের ঘটনাটি ধর্ষণের ঘটনা দিয়ে শুরু। এ ক্ষেত্রে স্পেসিফিক যার বিরুদ্ধে অভিযোগ তাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে, মামলা হয়েছে। তারপরও কেন এটাকে নিয়ে এত বড় ইস্যু বানানো হচ্ছে। কারা করছে আমাদের বোধগম্য নয়।

সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে এক কিশোরীকে দলবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ ওঠার পর এর প্রতিবাদে জুম্ম ছাত্র-জনতা অবরোধের ডাক দেয়। অবরোধ কর্মসূচি চলাকালেই গত রোববার বিক্ষোভ ও সহিংসতায় রণক্ষেত্র পরিণত হয় খাগড়াছড়ির গুইমারার রামেসু বাজার। এক পর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে অবরোধকারীদের পাল্টাপাল্টি ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। গুলিতে তিনজনের মৃত্যু হয়। তারা তিনজনই পাহাড়ি জনগোষ্ঠীর। সেনাবাহিনীর মেজরসহ আহত হন অন্তত ২০ জন।

সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন প্রসঙ্গে আইজিপি বলেন, নির্বাচনকে ঘিরে দেড় লাখ পুলিশকে পেশাগত, দক্ষতা ও নিরপেক্ষতার বিষয়ে ট্রেনিং দেওয়া হবে। আমরা নির্বাচনের দায়িত্ব পালনে সক্ষম বলে কনফিডেন্ট।  

তিনি জানান, ১৩৫০টি অস্ত্র এখনো উদ্ধার হয়নি, এসব অস্ত্র বিচ্ছিন্নতাবাদী, আরসাসহ নানাজনের কাছে গেছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

বাহারুল আলম বলেন, থানায় ভুক্তভোগীদের কোনো অভিযোগ পেয়ে মামলা হিসেবে গ্রহণ না করে প্রাথমিক তদন্তের নামে কালক্ষেপণ করলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

জুলাই অভ্যুত্থান ঘিরে সহিংসতার ঘটনায় ২১ পুলিশ অফিসার গ্রেপ্তার আছেন জানিয়ে আইজিপি আরও বলেন, আর বাকি যেসব পুলিশ অফিসার দেশের বাইরে পলাতক আছেন তাদের ব্যাপারে ইন্টারপোলের নোটিশ জারি করা হয়েছে। আমরা এ পক্রিয়ায় তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।

তিনি বলেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু ও নির্বিঘ্ন করতে প্রয়োজনে পুলিশ আরও কঠোর হবে এবং এ মুহূর্তে পুলিশ নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে।

Link copied!