ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ডিসেম্বর ৩, ২০২৫, ০২:২৫ পিএম

ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের কার্যক্রম স্থগিত চেয়ে রিট

ছবি: সংগৃহীত

আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত করার জন্য হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়েছে। বুধবার নিবন্ধিত রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ কংগ্রেসের মহাসচিব অ্যাডভোকেট ইয়ারুল ইসলাম এ রিট দায়ের করেন। রিটে প্রধান নির্বাচন কমিশনারসহ সংশ্লিষ্টদের বিবাদী করা হয়েছে।

রিটে বলা হয়েছে, নির্বাহী বিভাগ থেকে নির্বাচন কমিশনের সচিব, রিটার্নিং কর্মকর্তা ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তার নিয়োগ অবৈধ। এছাড়া ইলেক্টোরাল সার্ভিস কমিশন গঠনের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে। রিটে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে এবং রুলের নিষ্পত্তি না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচনের সব কার্যক্রম স্থগিত রাখার আবেদন করা হয়েছে। আগামী সপ্তাহে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে রিটের শুনানি হবে।

রিট আবেদনে আরও উল্লেখ করা হয়েছে, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদের পরিবর্তে জেলা প্রশাসক ও উপজেলা নির্বাহী অফিসারকে রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে নিযুক্ত করা সিদ্ধান্ত কেন অবৈধ হবে না, তা যাচাইয়ের জন্য রুল জারির আবেদন করা হয়েছে।

রিটে বলা হয়েছে, সংবিধান অনুসারে নির্বাচন পরিচালনা করার দায়িত্ব নির্বাচন কমিশনের, আর নির্বাহী বিভাগ নির্বাচন কমিশনকে সহায়তা দেবে। তবে বাস্তবে নির্বাহী বিভাগকে নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়, যা সরকারের স্বার্থ অনুযায়ী পরিচালিত হয়। ফলে নির্বাচনে বিতর্ক তৈরি হয়।

আইনজীবী মো. ইয়ারুল ইসলাম জানান, বর্তমান সময়ে নির্বাহী বিভাগ আস্থা ও গ্রহণযোগ্যতা হারিয়েছে, তাদের মাধ্যমে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়া কঠিন। তাই নির্বাচন কমিশনের নিজস্ব কর্মকর্তাদের মাধ্যমে সচিব, রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তাদের নিয়োগের নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশন ইতোমধ্যে ডিসিদের মাধ্যমে নির্বাচনের প্রস্তুতি নিয়েছেন এবং তাদের দায়িত্ব দেওয়ার ইঙ্গিত দিয়েছেন। যদি তারা পুনরায় দায়িত্ব পান, তবে নির্বাচন প্রভাবিত হতে পারে। তিনি উল্লেখ করেন, জেলা ও উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তাদেরকে নির্বাচন প্রক্রিয়ায় যুক্ত করা এবং নির্বাচন কমিশনের সচিবকে অপসারণ করা প্রয়োজন।

উল্লেখ্য, গত ২৯ নভেম্বর প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন জানিয়েছেন, ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহে ঘোষণা করা হবে। তিনি বলেন, নির্বাচন সুন্দর, অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য হবে, এ অঙ্গীকার বাস্তবায়ন করা হবে।

Link copied!