আরও তিন জেলায় আসছে লকডাউন

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

মে ২৮, ২০২১, ০৮:৩০ পিএম

আরও তিন জেলায় আসছে লকডাউন

দেশে করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক থাকলেও ঈদের পর সংক্রমণ বেড়েছে। দেশের সীমান্তবর্তী এলাকায় সংক্রমণ বৃদ্ধির পাশাপাশি ভারতীয় ভ্যারিয়েন্টের আতঙ্কও বৃদ্ধি পেয়েছে। শুক্রবার (২৮ মে) রাজশাহীতে গত ২৪ ঘণ্টায় ৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ ছাড়া সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ করোনার হটস্পট হয়ে ওঠায় গত সোমবার (২৪ মে) থেকে এক সপ্তাহ বিশেষ লকডাউন দেওয়া হয়েছে। এই অবস্থায় পরিস্থিতির অবনতি হলে সাতক্ষীরা, রাজশাহী ও খুলনা এই তিন জেলায় লকডাউন দেওয়া হতে পারে।

যে তিন জেলায় লকডাউনের সম্ভাবনা

শুক্রবার (২৮ মে) স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় ভেরিয়েন্ট দেশজুড়ে যাতে ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ লকডাউন দেওয়া হয়েছে। ধাপে ধাপে সীমান্তবর্তী জেলা সাতক্ষীরা, রাজশাহী এবং খুলনাতে লকডাউনের পরিকল্পনা আছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আবুল বাশার খুরশীদ আলম বলেন, চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় লকডাউন চলছে। আরো তিনটি জেলা লকডাউনের জন্য পর্যবেক্ষণে রয়েছে। করোনা সংক্রমণ বাড়লে ওইসব জেলা লকডাউনের চিন্তাভাবনা রয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় করোনা সংক্রমণের হার ৪০ শতাংশের ওপরে হওয়ায় লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে।

৭ জেলা ছিল পর্যবেক্ষনে

গত মঙ্গলবার (২৫ মে) থেকে সীমান্তবর্তী এলাকায় লকডাউনের জন্য পরিস্থিতির জন্য পর্যবেক্ষনে ছিল স্বাস্থ্য বিভাগ। সে সময় স্বাস্থ্য বিভাগের মতে - যশোর, সাতক্ষীরা, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা, রাজশাহী ও সিলেট জেলাতেও সংক্রমণের ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে। এর সঙ্গে ভারতে যাতায়াতের একটি সম্পর্ক থাকতে পারে। যার কারনে পরিস্থিতি বুঝ লকডাউনের প্রস্তাব উত্থাপিত হয়।

পরিস্থিতি অনুসারে রোগী স্থানান্তরের নির্দেশনা

সীমান্তবর্তী কয়েকটি জেলা থেকে জরুরি রোগী পার্শ্ববর্তী বড় জেলায় বা বিভাগীয় শহরে দ্রুত আনার প্রস্তুতি নিতে ইতোমধ্যে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর দেশে করোনার ভারতীয় ধরনে আক্রান্ত রোগী বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা করছে। যার ফলে সীমান্তবর্তী এলাকায় যদি হাসপাতালের বেড খালি না থাকে তাহলে পাশ্ববর্তী জেলাগুলোকে রোগী সেবা দেয়ার জন্য প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছে।

দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আরো ৩১ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে মৃত্যু সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ালো ১২ হাজার ৫১১ জনে। অন্যদিকে শনাক্ত হয়েছে ১৩৫৮ জনের শরীরে। মোট শনাক্তের সংখ্যা দাঁড়ালো ৭ লাখ ৯৬ হাজার ৩৪৩ জনে। 

Link copied!