এপ্রিল ৪, ২০২৩, ০৪:৪৩ এএম
আসছে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে নির্বাচন কমিশনের ইভিএম বা ব্যালট পেপারে ভোটগ্রহণ নিয়ে নয়, নির্বাচনকালীন সরকার নিয়েই বিএনপি আগ্রহী বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার রাজধানীর ইস্কাটনের লেডিস ক্লাবে ইফতার মাহফিলপূর্ব সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। রাজনৈতিক নেতাদের সম্মানে এ ইফতারের আয়োজন করে বিএনপি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, “আজকে (সোমবার) নাকি বলা হয়েছে যে আগামী নির্বাচনে ইভিএমে ভোটগ্রহণ হবে না, ব্যালটে ভোটগ্রহণ হবে। এই বিষয়গুলোতে আমাদের একটুও আগ্রহ নেই। নির্বাচনকালীন কোন ধরনের সরকার থাকবে সেটা হচ্ছে প্রধান সংকট।”
‘এসময় তিনি আরও বলেন, “আমরা পরিষ্কার করে বলেছি, জাতির যে সংকট সেই সংকট হচ্ছে নির্বাচনকালীন সরকারের। নির্বাচনকালীন কোন ধরনের সরকার থাকবে সেটা হচ্ছে প্রধান সংকট। এ কারণেই আমাদের গণতন্ত্র ধ্বংস হয়েছে, স্বাধীনতার মূল যে চেতনা ছিল, সেই চেতনা থেকে দেশ বহু দূরে সরে এসেছে।’
সংসদ বিলুপ্ত করার দাবি জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, “একটি নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করতে হবে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার নতুন নির্বাচন কমিশন গঠন করবে, সেই নির্বাচন কমিশনের অধীনে একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের মধ্য দিয়ে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা হবে।”
ইফতারপূর্ব আলোচনায় বিএনপি মহাসচিব বলেন, “নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে; দেশের রাজনীতিবিদ, আইনজীবী, সাংবাদিক, সংগঠকসহ গণতন্ত্রকামী মানুষের ওপর নির্যাতন ততই বাড়ছে। মিথ্যা মামলা দেওয়াসহ বিভিন্নভাবে মতপ্রকাশের স্বাধীনতাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে। দেশে একটা অসহনীয় অবস্থা বিরাজ করছে।”
এসময় সমমনা রাজনৈতিক দলের নেতাদের উদ্দেশ্যে মির্জা ফখরুল বলেন, “আসুন বাংলাদেশের মানুষকে তাদের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য একত্র হয়ে আওয়াজ তুলি-আমরা এ ভয়াবহ পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে আসি। একটা মুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ নির্মাণ করি, সত্যিকার অর্থেই একটা কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গড়ে তুলি।”
ইফতারে বিলুপ্ত সাবেক ২০ দলীয় জোটের শরিক ও বিএনপির যুগপৎ আন্দোলনের শরিক দলগুলোর শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। এছাড়া,জাতীয় পার্টির নেতারা অংশ নেন। তবে ইফতারে জামায়াতে ইসলামী ও আওয়ামী লীগের কাউকে দাওয়াত দেওয়া হয়নি বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।
বিএনপি সূত্রে জানা গেছে, বিএনপির ইফতার পার্টিতে অন্যদের মধ্যে এলডিপির কর্নেল (অব.) ড. অলি আহমদ, জেএসডির আ স ম আবদুর রব, তানিয়া রব, গণফোরামের মোস্তফা মোহসিন মন্টু,নাগরিক ঐক্যের মাহমুদুর রহমান মান্না, কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, এলডিপির ড.রেদোয়ান আহমেদ, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাইফুল হক, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকি উপস্থিত ছিলেন।
ইফতারে বিএনপি নেতাদের মধ্যে স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, ড. আবদুল মঈন খান, নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান আবদুল্লাহ আল নোমান, ব্যারিস্টার শাহজাহান ওমর, বরকত উল্লাহ বুলু, এজেডএম জাহিদ হোসেন, আহমেদ আজম খান, নিতাই রায় চৌধুরী, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, মিজানুর রহমান মিনু, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, অ্যাডভোকেট সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, শামসুর রহমান শিমুল বিশ্বাস, জহির উদ্দিন স্বপন, শহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি প্রমুখ অংশ নেন।