বর্তমান নির্বাচন কমিশনের (ইসি) মেয়াদ শেষ হলেও আইন অনুযায়ী 'কোনও শূন্যতা' তৈরি হবে না বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়কমন্ত্রী আনিসুল হক।
রবিবার রাজধানীর একটি হোটেলে নির্বাচন কমিশন আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, ইসিকে সহায়তা করবেন
বীর মুক্তিযোদ্ধাদের "বীর মুক্তিযোদ্ধা" খচিত স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র প্রদান এবং গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ, ১৯৭২ (বাংলা পাঠ) এবং জাতীয় সংসদের নির্বাচনী এলাকার সীমানা নির্ধারণ, আইন, ২০২১ এর মোড়ক উন্মোচন উপলক্ষ্যে ইসি ওই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে ১০০ বীর মুক্তিযোদ্ধার হাতে তুলে দেওয়া হয় বিশেষ এ স্মার্টকার্ড।
আইনমন্ত্রী বলেন, “আগামীকাল বর্তমান কমিশনের মেয়াদ পূর্ণ হয়ে যাচ্ছে। তারপরে নির্বাচন কমিশন গঠন করতে যদি একটু বিলম্ব হয় তা আইনে শূন্যতা হিসেবে গণ্য হবে না।”
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে আনিসুল হক আরও বলেন, “বর্তমান কমিশন দায়িত্ব চালিয়ে যেতে পারবে না। কারণ সংবিধানে সুনির্দিষ্টভাবে বলা আছে তারা পাঁচ বছর দায়িত্ব পালন করবেন। পাঁচ বছর শেষ হয়ে গেলে যারা স্থলাভিষিক্ত হবেন, তারা না আসা পর্যন্ত বর্তমানরা দায়িত্বে থাকবেন, এমন কোনও কথা নাই।’
তবে এ সময়ে নির্বাচন কমিশন বন্ধ হয়ে যাবে না উল্লেখ করে তিনি, “অ্যাডমিনিস্টেটিভ দায়িত্ব পালন করবে। কিন্তু নতুন নির্বাচন কমিশন আসলেই কোনও নির্বাচনের বিষয়ে পদক্ষেপ নিতে পারবে।”
সীমানা নির্ধারণ আইন-২০২১, ইসি নিয়োগের আইনও ইসিকে শক্তিশালী করার পদক্ষেপ উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, এ আইন করার সাহস কেউ দেখায়নি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যতদিন ক্ষমতায় থাকবেন, এভাবেই সহায়তা করে যাবেন।
ইসির সচিব মো. হুমায়ুন কবীর খোন্দকারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত অনুষ্ঠানে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদাসহ অন্য নির্বাচন কমিশনার এবং ইসির কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।