ফেব্রুয়ারি ১৯, ২০২৩, ০৪:১০ পিএম
অমর একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসের আয়োজন ঘিরে জঙ্গি হামলার কোনো সুনির্দিষ্ট হুমকি নেই বলে জানিয়েছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনার খন্দকার গোলাম ফারুক।
রবিবার দুপুরে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে সার্বিক নিরাপত্তা বিষয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, “আদালত থেকে দুই জঙ্গিকে যারা ছিনতাই করেছে, আমরা তাদের মধ্যে ১২ জনকে গ্রেফতার করেছি। তবে ছিনতাই হওয়া দুই জঙ্গি এখনো পলাতক আছে। তবে একুশে ফেব্রুয়ারিতে জঙ্গি হামলার কোনো হুমকি নেই।”
একুশে ফেব্রুয়ারি ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে রাজধানীজুড়ে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী কঠোর নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করেছে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার বলেন, “বিভিন্ন স্থানে চেকপোস্ট বসানো হবে। চালানো হবে তল্লাশি। এ ছাড়াও পুলিশের পাশাপাশি সাদা পোশাকে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মাঠে কাজ করবেন।”
২০ ফেব্রুয়ারি রাত ১২টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারির আনুষ্ঠানিকতা শুরু হবে উল্লেখ করে খন্দকার গোলাম ফারুক বলেন, “১২টার পর পরই রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী প্রথমে শহীদ মিনারে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করবেন। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে দুই ভাগে নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিশ্চিত করা হবে। প্রথম ভাগে রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, মন্ত্রিপরিষদের সদস্য ও বিদেশি কূটনৈতিকরা পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন। তারা পুষ্পস্তবক অর্পণ করে বিদায় নেওয়ার পর দ্বিতীয় পর্বে জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত করে দেওয়া হবে।” এই দুই ভাগে শহীদ মিনারের নিরাপত্তাসহ ট্রাফিক ব্যবস্থাপনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।
পলাশী প্রান্তর থেকে দোয়েল চত্বর ও বইমেলার পুরো এলাকা সিসিটিভির আওতায় নিয়ে আসা হয়েছে জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, “ শহীদ মিনারের প্রত্যেকটি প্রবেশপথে আর্চওয়ে বসানো থাকবে। যারাই আসবেন আর্চওয়ের ভেতর দিয়ে তল্লাশির মাধ্যমে প্রবেশ করতে হবে। সঙ্গে ব্যাগ জাতীয় কোনো জিনিস নিয়ে আসবেন না।”
তিনি বলেন, “প্রতিবারের মতো এবারও একইভাবে প্রবেশ করানো হবে। ভিভিআইপিরা দোয়েল চত্বর হয়ে প্রবেশ করবেন। মন্ত্রিপরিষদের সদস্যরা জিমনেশিয়াম মাঠে গাড়ি রেখে বাকি পথ হেঁটে আসবেন। আর সাধারণরা পলাশী মোড় হয়ে জগন্নাথ হল হয়ে প্রবেশ করবেন ও দোয়েল চত্বর-চানখাঁরপুল হয়ে বের হয়ে যাবেন।”
তিনি বলেন, “করোনার পর যেহেতু পুরোপুরি উন্মুক্ত পরিবেশে প্রথমবারের মতো এবার একুশে ফেব্রুয়ারি পালিত হবে। ঢাকার নাগরিকরা উৎসাহ-উদ্দীপনা নিয়ে আসবেন। নিরাপত্তা পরিকল্পনায় ঢাবির সহযোগিতায় সার্বিক ব্যবস্থাপনা নেওয়া হয়েছে।”
মোট তিন ধাপে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকবে উল্লেখ করে ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, ২০ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা ৬টা থেকে ২১ ফেব্রুয়ারি সকাল ৬টা, এর পর থেকে সন্ধ্যা ৬টা ও সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরবর্তী ধাপে মোট তিন ধাপে এ এলাকায় পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা হবে।” প্রবেশপথ ও বেরিয়ে যাওয়ার পথ ছাড়া সব সড়ক বন্ধ করে দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।