বেটা
নভেম্বর ৫, ২০২২, ০৩:২৮ পিএম
কুমিল্লা টাউন হলে আয়োজিত মহানগর শাখা আওয়ামী লীগের ত্রিবার্ষিক সম্মেলনে সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের বক্তৃতার সময় স্থানীয় দুই সংসদ সদস্যের অনুসারীদের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গোলাগুলি ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেছে।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে কুমিল্লা নগরের নজরুল অ্যাভিনিউ সড়কে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আ ক ম বাহাউদ্দিন এমপি এবং সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি আঞ্জুম সুলতানার অনুসারীদের মধ্যে এ সংঘর্ষ বাধে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ‘সম্মেলনে প্রবেশ করতে গেলে আঞ্জুম সুলতানাকে বাধা দেওয়ায় তিনি সেখান থেকে ফিরে যান। এর কিছু সময় পরই সেখানে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটে। এ সময় সমাবেশস্থলে এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।
সমাবেশে আসা আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীরা জানান, বেলা ১১টা ৪৭ মিনিটে ওবায়দুল কাদের কুমিল্লা টাউন হল মাঠের সম্মেলনস্থলে বক্তব্য দিচ্ছিলেন। এ সময় আঞ্জুম সুলতানা প্রবেশ করতে চাইলে তাকে বাধা দেওয়া হয়। পরে সেখান তিনি চলে যাওয়ার কিছুক্ষন পর ককটেল বিস্ফোরণ ও গুলির শব্দ শোনা যায়। এ সময় দু’পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি শান্ত করে।
এবিষয়ে জেলা পুলিশ সুপার আবদুল মান্নান গণমাধ্যমকে বলেন, ওই এলাকার পরিস্থিতি শান্ত আছে। টাউন হল মাঠের বাইরে অন্য সড়কে ঝামেলা হয়েছিল। প্রশাসন পরিস্থিতি সামাল দিয়েছে।
অন্যদিকে, সংরক্ষিত মহিলা আসনের এমপি আঞ্জুম সুলতানা বলেন, ‘আমাকে সম্মেলনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। পরে আমি চলে আসি। এরপর ঝামেলা হয়েছে।’
স্থানীয় নেতাকর্মীরা জানান, কুমিল্লার আওয়ামী লীগ নেতা আফজল খানের সঙ্গে দীর্ঘদিন রাজনৈতিক বিরোধ চলেছে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও কুমিল্লা সদর আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহারের। আফজল খানের মৃত্যুর পর তার মেয়ে সংরক্ষিত নারী আসনের সংসদ সদস্য ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আঞ্জুম সুলতানা সীমা এখন ওই পক্ষের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
শনিবারের সম্মেলনে প্রয়াত আফজল খানের অনুসারীদের উপেক্ষিত করার অভিযোগ করেছেন তারা। তবে বাহারের অনুসারীরা তা নাকচ করে দিয়েছেন। এ অবস্থায় আফজল খানের অনুসারীরা দাওয়াত না পেলেও সম্মেলনে যোগদান করার সিদ্ধান্ত নেন।
বেলা সোয়া ১১টায় আ ক ম বাহাউদ্দিনের সভাপতিত্বে কুমিল্লা টাউন হল মাঠে মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলন শুরু হয়। বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে সম্মেলন উদ্বোধন করেন ওবায়দুল কাদের। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম। প্রধান বক্তা ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ। বিশেষ অতিথি ছিলেন কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আবু সাইদ আল মাহমুদ, কেন্দ্রীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সম্পাদক মো. আবদুস সবুর, কেন্দ্রীয় তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক সেলিম মাহমুদ, কেন্দ্রীয় ত্রাণ ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী।
-20241121105543.jpg)
-20241027115010.png)
