কায়সার কি কপাল পুড়ালো সাক্কুর!

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ১৬, ২০২২, ০৮:৫৪ এএম

কায়সার কি কপাল পুড়ালো সাক্কুর!

কুমিল্লার গত দুইবারের মেয়র ও বহিস্কৃত বিএনপি নেতা স্বতন্ত্র প্রার্থী মনিরুল হক সাক্কুর ভোটে ভাগ বসিয়েছেন নিজাম উদ্দিন কায়সার। তার সেই ভাগেই সমীকরণ পাল্টে দিয়েছে কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন (কুসিক) নির্বাচনের। দুইজনই বিএনপির বহিস্কৃত নেতা। যার ফলে ভোট ব্যাংকের একটি অংশ এই দুইজনের মধ্যে ভাগ হয়ে যায় বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

বিএনপি নির্বাচন বর্জন করলেও সেখানে পরোক্ষাভাবে আওয়ামী লীগ-বিএনপির লড়াই হয়েছে। বিএনপির প্রধান অংশ ছিল সাক্কুর পাশে, কিন্তু আরেক অংশ ছিল স্বেচ্ছাসেবক দল থেকে পদত্যাগ করে ভোটে দাঁড়ানো নিজামউদ্দিন কায়সারের পেছনে।

আলোচিত বক্তব্য, অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ, ব্যতিক্রমী প্রচারণা, ভোটার আশ্বাস ও নতুন ভোটারদের আকৃষ্ট করে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে আলোচনায় এই তরুণ নেতা।

এছাড়া গত দুইবারের সাবেক নগরপিতা মনিরুল হক সাক্কুর পথের কাঁটা হয়ে দাঁড়ানোর ফলে তিনি যেন টক অব দ্য টাউন।

নগরীর ভোটে পাঁচ মেয়র প্রার্থীর মধ্যে আলোচনায় যে তিনজন, তাদের মেয়র নির্বাচিত হওয়ার বড় ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছিলেন কায়সার।

কায়সারের ঘোড়া মার্কায় ভোট পড়েছে মোট ২৯ হাজার ৯৯টি, যেটি সাক্কুর পরাজয়ের প্রধান কারণ হিসেবে দেখছেন অনেকেই। অন্যদিকে মনিরুল হক সাক্কুর টেবিল ঘড়ি মার্কায় ভোট পড়েছে ৪৯ হাজার ৯৬৭টি। তবে যদি কায়সারের ভোট সাক্কুর কপালে থাকতো তাহলে মোট ভোট হতো ৭৯ হাজার ৬৬টি। কিন্তু দলের এই ভোট ভাগাভাগির দ্বন্দ্বে মাঝখান থেকে সুফল পেয়েছেন নৌকার রিফাত।

শুরুতে কায়সারের প্রচারণা তেমন সাড়া না ফেললেও শেষ মুহুর্তে তিনি ছিলেন আলোচনার শীর্ষে। কারণ এই তরুণ নেতার কারণে হাড্ডাহাড্ডি একটা লড়াই চলে সাক্কু ও রিফাতের মধ্যে।

সাবেক মহানগর সেচ্ছাসেবক লীগ সভাপতি কায়সার নির্বাচনে এসেই দল থেকে বহিষ্কার হলে, আর তারপরেই আসলেন আলোচনায়। দীর্ঘ ১৮ দিনের প্রচারণায় আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতেই ছিলেন সিটি নির্বাচনের এই নতুন মুখ।

Link copied!