ফেব্রুয়ারি ১, ২০২৩, ০৭:৫০ এএম
পাইকারি ও খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম বাড়ানোর তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, সরকার ও তার অনুগতদের দুর্নীতি, লুটপাটের কারণে বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে জনগণের পকেট কাটা হচ্ছে। এই পকেট কাটা সরকারের বিরুদ্ধে জনগণ আজ জেগে উঠেছে।
মঙ্গলবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত উল্লেখ করে অবিলম্বে তা প্রত্যাহারের দাবি জানান তিনি।
বিবৃতিতে মির্জা ফখরুল আরও বলেন, সরকার বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি নিয়ে খুচরা চালাকি করছে। এতদিন এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন গণশুনানি করে দাম বাড়াত। সেখানেও সরকারের ইঙ্গিতে দাম বাড়ানো হতো। এবার সরকার নিজেই এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনকে পাশ কাটিয়ে দাম বাড়ানোর দায়িত্ব নিয়ে নিয়েছে।
তিনি অভিযোগ করেন, বিদ্যুৎ সেক্টরে সীমাহীন দুর্নীতি ও অনিয়মের মাশুল বারবার জনগণকে দিতে হচ্ছে। অনুগত লোকদের লাভবান করতে তাদের দিয়ে বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র করানো হচ্ছে। যেখানে বিদ্যুৎ উৎপাদন না করেই তাদের বসিয়ে রেখে ক্যাপাসিটি চার্জের নামে জনগণের টাকায় আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ বানানো হচ্ছে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকারের ব্যর্থতা, দুর্নীতি, লুটপাট, অব্যবস্থাপনা ও ভ্রান্ত নীতির কারণে এমনিতেই জনগণ চরম দুর্ভোগে রয়েছে। এর মধ্যে দফায় দফায় বিদ্যুতের দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী, তুঘলকি ও অযৌক্তিক সিদ্ধান্ত।
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, মাত্র ১৯ দিন আগে খুচরা পর্যায়ে বিদ্যুতের দাম এক দফায় বৃদ্ধি করেছে। ১৯ দিন পর আবার খুচরা ও পাইকারি পর্যায়ে দাম বৃদ্ধি সরকারের গণবিরোধী চরিত্রের বহিঃপ্রকাশ। বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে প্রতি জিনিসের দাম আবারও বৃদ্ধি পাবে। এই বোঝা জনগণ আর সহ্য করতে পারবে না।
তিনি আরও বলেন, জনগণের সরকার নয় বলেই তারা জনগণকে চরম দুর্দিনে বিদ্যুৎ, গ্যাস, জ্বালানি তেল, ভোজ্য তেল, সারসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্য মূল্য বার বার বৃদ্ধি করছে। এ বিষয়ে সরকরের অনুশোচনা নাই, বরং এসব তুঘলকি কাণ্ডের পক্ষে নির্লজ্জের মতো মিথ্যাচার করছে।
দেশব্যাপী ১০ দফাসহ গ্যাস, বিদ্যুৎ ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্য কমানোর দাবিতে ৪ ফেব্রুয়ারির বিভাগীয় সমাবেশ সফল করে সরকারের এই গণবিরোধী সিদ্ধান্তের প্রতিবাদ করতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।