ঘন কুয়াশার কারণে বঙ্গবন্ধু সেতুতে রাতে দুই ঘণ্টা টোল আদায় বন্ধ থাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল-বঙ্গবন্ধু সেতু মহাসড়কে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। পরবর্তীতে কয়েকটি কাউন্টারে টোল আদায় শুরু করলেও চালু রাখায় স্বাভাবিক গতিতে যানবাহন চলাচল করতে পারেনি। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন যাত্রী ও চালকরা।
বৃহস্পতিবার (২৯ ডিসেম্বর) ভোররাত থেকে বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব পাশের টোলপ্লাজা থেকে কালিহাতী উপজেলার এলেঙ্গা পর্যন্ত প্রায় ১৫ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়েছে।
বঙ্গবন্ধু সেতুর ট্রাফিক কন্ট্রোল রুম সূত্র জানায়, কুয়াশা বেড়ে যাওয়ায় দৃষ্টিসীমা ৪০ মিটারের কম হওয়ায় সেতুতে দুর্ঘটনা এড়াতে বৃহস্পতিবার রাত ১২টা থেকে রাত ২টা পর্যন্ত পূর্ব ও পশ্চিম টোলপ্লাজায় টোলবুথগুলো বন্ধ রাখা হয়। পরে মহাসড়কে যানজট সৃষ্টি হওয়ায় ১৪টি টোলবুথের মধ্যে পূর্ব দিকের দুটি ও পশ্চিমের দুটি টোলবুথ চালু করে দেয় কর্তৃপক্ষ। এতেও যানবাহনের চাপ কমানো সম্ভব হয়নি।
চালকরা জানান, কুয়াশা বেশি হলেই সেতুতে টোল আদায় বন্ধ রাখা হয়। দীর্ঘ সময় গাড়ি বন্ধ থাকায় চালকরাও ঘুমিয়ে পড়েন। অনেকেই এলোমেলোভাবে গাড়ি রেখে সড়ক আটকে রাখেন। এ ছাড়া সকালের দিকে মহাসড়কে গাড়ির চাপ বেড়ে যায় বলে যানজটের সৃষ্টি হয়।
বগুড়াগামী এক ট্রাকচালক বলেন, কুয়াশায় সামনের কিছু দেখা যায় না। এক কিলোমিটার রাস্তা আসতে প্রায় দেড় ঘণ্টা সময় লেগেছে।
এদিকে মহাসড়কে যানজটের কারণে উত্তরবঙ্গ থেকে ঢাকাগামী পরিবহনগুলো বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব গোলচত্বর থেকে ভূঞাপুর দিয়ে আঞ্চলিক সড়ক ব্যবহার করে ঘুরে যাচ্ছে।
বঙ্গবন্ধু সেতু পূর্ব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, কয়েকদিন ধরেই ঘন কুয়াশার কারণে সেতুতে টোল আদায় বন্ধ রাখা হচ্ছে। এ কারণে মহাসড়কে যানবাহনের দীর্ঘ সারির সৃষ্টি হয়েছে। পরিবহন চলাচল স্বাভাবিক করতে পুলিশ কাজ করছে।