অক্টোবর ১৭, ২০২২, ০৫:৪১ এএম
জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে জনদুর্ভোগ এবং অনিয়মের কারণে মানুষ দালালের খপ্পরে পড়ছেন বিষয়টি স্বীকার করেছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রী ও ঢাকার দুই সিটি মেয়র।
রোববার বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় জন্ম ও মৃত্যু নিবন্ধন দিবসের আলোচনা সভায় স্থানীয় সরকার মন্ত্রী তাজুল ইসলাম, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস ও ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) আতিকুল ইসলাম জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনে মানুষের ভোগান্তির বিষয়টি স্বীকার করেন।
দুই মেয়রের অভিযোগ, জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন শাখায় জনবল সংকটের পাশাপাশি সার্ভারের সক্ষমতা কম রয়েছে। ফলে মানুষকে ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে।
ডিএনসিসি মেয়র বলেন, জনগণ যখন সিটি করপোরেশনের আঞ্চলিক অফিসে আসেন, তখন জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধন সার্ভারে এমন চাপ থাকে যে কাজ করা যায় না, সার্ভার বন্ধ থাকে। তাই কাজ করতে হয় রাতে। তখনই নিশাচর দালালের কাছে জনগণ বাধ্য হয়ে এ কাজ করতে দেন।
অন্যদিকে ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আঞ্চলিক অফিসগুলোতে জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা না থাকায় জনগণ দালালের খপ্পরে পড়ছে। কারণ উনারা তো জানেন না এই কাজটা কে করবেন?
ডিএসসিসি মেয়র বলেন, আমরা সম্প্রতি পাঁচটি আঞ্চলিক অফিসে লোকবল নিয়োগ দিয়েছি, যদিও সেটা পর্যাপ্ত নয়। তারপরও এই কাজের জন্য তো একজন দায়বদ্ধ থাকবেন।
জন্ম-মৃত্যু নিবন্ধনের ক্ষেত্রে অব্যবস্থাপনার কথা অনুষ্ঠানে স্বীকার করে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এই কাজের জন্য অনেক জায়গায় লোক নাই। লোক না থাকলে কাজ করবে কীভাবে?
মন্ত্রী বলেন, সার্ভার সমস্যার কথা শুনলাম। কিন্তু এখানে আমরা কেন ৪-৫ কোটি টাকা দিতে পারছি না? আমি নিজেও এর জন্য দায়বদ্ধ। কিন্তু আমি তো একা এ কাজ করতে পারব না। আমরা সার্ভারের সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা নেব।
তাজুল ইসলাম বলেন, আদমশুমারিতে ৭০০ কোটি টাকা খরচ করি, কিন্তু এখানে ৭ কোটি টাকা খরচ করবেন না, এটা তো ঠিক না।