টিপ নিয়ে পুলিশের ফেসবুকে ‘আপত্তিকর’ পোস্ট!

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

এপ্রিল ৯, ২০২২, ০৮:৩২ পিএম

টিপ নিয়ে পুলিশের ফেসবুকে ‘আপত্তিকর’ পোস্ট!

কপালে টিপ পরা নিয়ে দেশজুড়ে সমালোচনার ঝড় বইছে। এরই মধ্যে শনিবার বাংলাদেশ পুলিশের ভেরিফাইড ফেসবুক পেজে একটি ‘আপত্তিকর’ পোস্ট শেয়ার করা হয়। অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা ট্রিবিউনের খবরে বলা হয়, শনিবার বিকাল ৩টা ৪৬ মিনিটে বাংলাদেশ পুলিশের অফিসিয়াল ফেসবুক পেজ থেকে টিপ বিষয়ক একটি ‘আপত্তিকর’ ওয়াজ শেয়ার করা হয়।পরে অবশ্য ফেসবুক পেজ থেকে আপত্তিকর সেই পোস্টটি সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।

পুলিশের মিডিয়া উইং-এর এআইজি মো. কামরুজ্জামান এ বিষয়ে ঢাকা ট্রিবিউনকে বলেছেন, “এটা একেবারেই অসাবধানতাবশত হয়েছে। আমাদের নজরে আসার সঙ্গে সঙ্গে পেজ থেকে পোস্টটি সরিয়ে দিয়েছি। এই মুহূর্তে, আমরা আসল কারণটি খতিয়ে দেখছি।”

অনিচ্ছাকৃতভাবে এটি শেয়ার হয়েছে উল্লেখ করে ওই কর্মকর্তা আরও বলেন, “আমাদের সাইবার সিকিউরিটি টিম নিয়মিতভাবে বিভিন্ন অনুপযুক্ত পোস্টের উপর নজর রাখে। সম্ভবত তাদের মধ্যে একজন অনিচ্ছাকৃতভাবে ক্লিক করে পোস্টটি শেয়ার করেছে।”

প্রসঙ্গত, গত ২ এপ্রিল সকালে হেঁটে যাওয়ার সময় তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক লতা সমাদ্দারকে পুলিশের পোশাক পরা এক ব্যক্তি “টিপ পরছোস কেন” বলে কটূক্তি করেন। প্রভাষক লতা সমাদ্দার এর  প্রতিবাদ জানালে তার পায়ের ওপর দিয়ে মোটরসাইকেল চালিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করেন ওই পুলিশ সদস্য।

বিষয়টি নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুরু হয় প্রতিবাদের ঝড়। পরবর্তীতে সমালোচনার মুখে তেজগাঁও থানা পুলিশ অভিযুক্ত ব্যক্তিকে কনস্টেবল নাজমুল তারেক বলে শনাক্ত করে। এ ঘটনা প্রকৃত কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটিও ঘটনার সত্যতা খুঁজে পায়।

রাজধানীর তেজগাঁও কলেজের প্রভাষক ড. লতা সমাদ্দারকে  ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) প্রোটেকশন বিভাগে কর্মরত কনস্টেবল নাজমুল তারেক হেনস্ত করেছিলেন বলে প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি।

শনিবার ডিএমপি কমিশনার শফিকুল ইসলাম গণমাধ্যমকে বলেন, “প্রাথমিকভাবে কনস্টেবল নাজমুল তারেকের বিরুদ্ধে পাওয়া অভিযোগের প্রমাণ পাওয়া গেছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করা হবে এবং তাকে শোকজ করা হবে।”

 

ডিএমপি কমিশনার আরও বলেন, “কনস্টেবল নাজমুল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেননি। তদন্ত কমিটির কাছে তিনি দাবি করেছেন, টিপ নিয়ে তিনি কোনো মন্তব্য করেননি। কিন্তু শিক্ষিকার সঙ্গে উচ্চবাচ্য হয়েছে বলে তদন্ত কমিটি প্রতিবেদন দিয়েছে। তার আচরণ দেখে মনে হয়েছে আপত্তিকর কিছু বলে থাকতে পারেন।”

Link copied!