জুলাই ৩০, ২০২২, ১১:১৯ এএম
চট্টগ্রামের মিরসরাইয়ে মহানগর প্রভাতী ট্রেনের ধাক্কায় মাইক্রোবাসের ১০ যাত্রী ও চালকের নিহতের ঘটনায় রেলক্রসিংয়ের গেটম্যান সাদ্দাম হোসেনকে আসামি করে মামলা করেছে রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি)।
শনিবার সকালে চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) জহিরুল ইসলাম বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।চট্টগ্রাম রেলওয়ে পুলিশের এসআই জহিরুল ইসলাম মামলার বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, “মিরসরাইয়ে ট্রেন-মাইক্রোবাস দুর্ঘটনায় ১১ জন নিহত হওয়ার পর একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। অবহেলা জনিত হত্যার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৩৩৮ (ক)/৩০৪ (ক)/৪২৭ ধারায় মামলাটি করা হয়েছে। এর আগে শুক্রবার সন্ধ্যায় গেটম্যান সাদ্দাম হোসেনকে মীরসরাই রেলক্রসিং এলাকা থেকে আটক করে পুলিশ।
এদিকে, শনিবার সকাল ১০টা দিকে হাটহাজারীর খন্দকিয়া ছমদিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে নিহত ১১ জনের মধ্যে ৫ জনের জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। অন্য ৬ জনের জানাজা সম্পন্ন হয় ইউনুস নগরে।
অন্যদিকে, দুর্ঘটনায় নিহত ১১ জনেরই পরিচয় জানিয়েছেন চট্টগ্রাম রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাজিম উদ্দিন। শনিবার সকালে দ্য রিপোর্ট ডট লাইভকে তিনি জানান, নিহত ১০ ছাত্র-শিক্ষকদের মধ্যে চার জন শিক্ষক, ৬ জন শিক্ষার্থী। দুর্ঘটনায় নিহতদের মধ্যে ৪ জন ওই কোচিং সেন্টারের শিক্ষক। হতাহতদের সবারই বাড়ি চট্টগ্রামের হাটহাজারির খন্দকিয়া গ্রামে।
নিহত চার শিক্ষক হলেন- খন্দকিয়া গ্রামের লাইনম্যান কবিরের বাড়ির আবদুল হামিদের ছেলে জিয়াউল হক সজীব, আজিজ মেম্বারের বাড়ির জানে আলমের ছেলে ওয়াহিদুল আলম জিসান, আবু মুসা খান বাড়ির মোতাহের হোসেনের ছেলে মোস্তফা মাসুদ রাকিব ও মজিদ আব্বাস চৌধুরী বাড়ির বাদশা চৌধুরীর ছেলে শিক্ষক রিদুয়ান চৌধুরী।
নিহত শিক্ষার্থীরা হলেন-খন্দকিয়া গ্রামের মোজাফফর আহমদের ছেলে মোসহাব আহমেদ হিসাম, মনসুর আলমের ছেলে মো. মাহিম, পারভেজের ছেলে সাগর, আবদুল মাবুদের ছেলে ইকবাল হোসেন মারুফ, আয়াতুল ইসলাম এবং মো. ইলিয়াছের ছেলে মোহাম্মদ হাসান।
নিহত মাইক্রোবাস চালকের নাম গোলাম মোস্তফা নিরু। তিনি নগরীর হাজী মোহাম্মদ ইউসুফের ছেলে। দুর্ঘটনায় আহত সাতজন হচ্ছেন-তৌকিদ ইবনে শাওন, তছমির পাভেল, মো. মাহিম, মো. সৈকত, তানভীর হাসান হৃদয়, মোহাম্মদ ইমন ও আয়াতুল ইসলাম।
প্রসঙ্গত,গতকাল শুক্রবার দুপুরে মীরসরাইয়ের খৈয়াছড়া এলাকার একটি রেলক্রসিংয়ে গেইটম্যান না থাকায় মাইক্রোবাস উঠে যায় রেললাইনে। ওইসময় দ্রুত গতির মহানগর প্রভাতী ট্রেন প্রায় এক কিলোমিটার টেনে নিয়ে যায় যাত্রীবাহী মাইক্রোবাসটিকে। এতে ১১ জন নিহত ও আহত হন আরও পাঁচজন। তাঁরা মিরসরাইয়ে ঝর্ণা দেখতে গিয়েছিলেন।