অক্টোবর ১০, ২০২২, ০১:৫২ পিএম
উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে স্বেচ্ছায় বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হওয়া ১৯ জেলার ৩৮ তরুণের তালিকা প্রকাশ করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব)। পার্বত্য চট্টগ্রামে বিভিন্ন জঙ্গি সংগঠনের ছত্রছায়ায় দুর্গম অঞ্চলে আত্মগোপনে থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে সংগঠনে কার্যক্রম পরিচালনা করছেন নিখোঁজ তরুণরা। অথচ পরিবার জানে সন্তান বিদেশে আছে।
কুমিল্লা ও দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে বাড়ি ছেড়ে যাওয়াদের অর্থ সরবরাহকারী হাবিবুল্লাহসহ বাড়ি ছেড়ে যাওয়া ৫ জনকে গতকাল রবিবার রাতে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী ও কেরানীগঞ্জ এলাকা থেকে আটকের এসব তথ্য জানিয়েছে র্যাব।
আজ সোমবার দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, জঙ্গি সম্পৃক্ততায় কুমিল্লা ও দেশের অন্যান্য অঞ্চল থেকে বাড়ি ছেড়ে যাওয়ার সঙ্গে জড়িত সংগঠনের দাওয়াতি ও অন্যতম অর্থ সরবরাহকারী শাহ মো. হাবিবুল্লাহ ও বাড়ি ছেড়ে যাওয়া তিনজনসহ মোট পাঁচজনকে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এবং কেরানীগঞ্জ থেকে গ্রেফতার করে র্যাব।
যাদের অনেকে বিদেশে রয়েছেন বলে জানেন পরিবার-স্বজনরা। তারা মাঝে-মধ্যে বাড়িতে টাকাও পাঠান। তবে উগ্রবাদে উদ্বুদ্ধ হয়ে দুই দফায় নিরুদ্দেশ হওয়া ৬ তরুণসহ মোট ১২ জনকে আটকের পর র্যাব বলছে, অন্তত ৫৫ জন কথিত হিজরতের নামে বাড়ি থেকে নিরুদ্দেশ হয়েছেন। যাদের মধ্যে ৩৮ জন পার্বত্য চট্টগ্রাম দুর্গম এলাকায় অবস্থান করছেন।
গত ২৩ আগস্ট কুমিল্লা সদর এলাকা থেকে আট তরুণের নিখোঁজের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় নিখোঁজের বিষয়ে ২৫ আগস্ট কুমিল্লার কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরি করা হয়।
এরপর র্যাব নিখোঁজের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের উদ্ধারে ও জড়িতদের গ্রেফতারে গোয়েন্দা নজরদারি বাড়ায়।
এরমধ্যে গত ১ সেপ্টেম্বর কুমিল্লা থেকে নিখোঁজ হওয়া আট তরুণের মধ্যে শারতাজ ইসলাম নিলয় (২২) রাজধানীর কল্যাণপুরে নিজ বাড়িতে ফিরে আসেন। নিলয় থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে ৬ অক্টোবর মুন্সিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জ ও ময়মনসিংহ থেকে জঙ্গি সংগঠনের দাওয়াতি, তত্ত্বাবধানকারী, আশ্রয় প্রদান কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত তিনজন ও নিরুদ্দেশ চার তরুণসহ মোট সাতজনকে গ্রেফতার করে র্যাব। গ্রেফতাররা উগ্রবাদী সংগঠন সম্পর্কে তথ্য দেয় র্যাবকে।
এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল রাতে র্যাব সদরদপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও র্যাব-১০ এর যৌথ অভিযানে যাত্রাবাড়ী ও কেরানীগঞ্জ থেকে শাহ মো. হাবিবুল্লাহ ওরফে হাবিব (৩২), নেয়ামত উল্লাহ (৪৩), মো. হোসাইন (২২), রাকিব হাসনাত ওরফে নিলয় (২৮) ও মো. সাইফুল ইসলাম ওরফে রণি ওরফে জায়দ চৌধুরীকে (১৯) গ্রেফতার করা হয়।