ফেব্রুয়ারি ৩, ২০২২, ০৯:৫৯ পিএম
দেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে শেখ হাসিনা সরকার জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে কাজ করছে বলে জানিয়েছেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। দুর্নীতির বিরুদ্ধে অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি জানান।
বৃহস্পতিবার সকালে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্পোরেশনের (বিআরটিসি) ভবন আধুনিকায়নের উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন। এ সময় বিআরটিসির চেয়ারম্যান মো. তাজুল ইসলামসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক বলেন, “বিগত সরকারের সময় দুর্নীতিতে বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ, কিন্তু বর্তমান শেখ হাসিনা সরকার আজ সেই বাংলাদেশকে দুর্নীতিমুক্ত করতে জিরো টলারেন্স নীতি বাস্তবায়নে কাজ করছেন।”
দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে সততার সাথে কাজ করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দিয়ে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বিআরটিসিকে যেকোনো মূল্যে সুনামের ধারায় ফিরিয়ে আনার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের।
বিআরটিসিকে জনসেবামূলক প্রতিষ্ঠান হিসেবে গড়ে তোলার আহ্বান জানিয়ে তিনি আরও বলেন, “দুর্নীতি বন্ধ করতে না পারলে সফলতা আসবে না।”
সড়ক পরিবহন মন্ত্রী বলেন, “বিআরটিসির কার্যালয়গুলোর শুধু সৌন্দর্য বর্ধন করলেই হবে না, যাত্রী সেবার মানও নিশ্চিত করতে হবে। স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়সহ প্রতিটি ডিপো অডিট ফার্ম কর্তৃক অডিট কার্যক্রম সম্পন্ন করাসহ আভ্যন্তরীন অডিট আরও জোরদার করতে হবে।”
বিআরটিসিকে আধুনিক পরিবহনে রুপান্তর করতে হবে এবং যাত্রীসেবার মান উন্নত করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করার নির্দেশনা দিয়ে আওয়ামী লীগের অন্যতম শীর্ষ সড়ক পরিবহনমন্ত্রী আরও বলেন, “বিআরটিসির গাড়িগুলোকে আরেও আধুনিকায়ন ও দৃষ্টিনন্দন করে গড়ে তুলতে হবে।”
ওবায়দুল কাদের বলেন, স্বচ্ছতা ও জবাবদিহিতা নিশ্চিত করতে বিআরটিসির প্রধান কার্যালয়সহ প্রতিটি ডিপো অডিট ফার্ম কর্তৃক অডিট কার্যক্রম সম্পন্ন করাসহ অভ্যন্তরীণ অডিট আরও জোরদার করতে হবে।
গাড়িগুলো মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণ কাজের জন্য বরাদ্দকৃত অর্থের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের নির্দেশ দেন তিনি। এসময় সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী বলেন, “ফিজিক্যাল ওয়ার্ক শতভাগ না করে কেউ যেন সম্পূর্ণ বিল তুলে নিতে না পারে সে বিষয়টি কঠোরভাবে মনিটর করতে হবে।”