মার্চ ১৫, ২০২১, ০৫:৫৬ পিএম
ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী উচ্চ ফলনশীল গমের নতুন জাতের মাধ্যমে দেশে গমের চাষ ও উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন কৃষিমন্ত্রী ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক এমপি।
কৃষিমন্ত্রী বলেন, ‘দেশে দিন দিন গমের চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। কিন্তু বাংলাদেশের আবহাওয়া গম চাষের জন্য খুব উপযোগী না হওয়ায়, চাহিদা অনুযায়ী পুরো দেশে উৎপাদন করা সম্ভব হয় না। তবে নতুন উদ্ভাবিত ‘বারি গম-৩৩’সহ আরও কয়েকটি জাত ব্লাস্ট রোগ প্রতিরোধী হওয়ায় উৎপাদন সম্ভাবনা অনেক বেশি।’
সোমবার (১৫ মার্চ) দিনাজপুরের নশিপুরে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটে গম ও ভুট্টার চলমান গবেষণা মাঠ পরিদর্শন শেষে কৃষিমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
নতুন উদ্ভাবিত উচ্চ ফলনশীল জাতগুলোর সম্ভাবনা অনেক বেশি উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, ‘এই দিনাজপুরে জাতগুলোর উন্নত বীজ উৎপাদন করে সারাদেশে চাষে ব্যবহৃত হবে। এর ফলে দেশের বিরাট এলাকা গম চাষের আওতায় আসবে ও উৎপাদন বহুগুণে বৃদ্ধি পাবে।’
বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউট সূত্রে জানা যায়, ২০১৬ সালে বাংলাদেশে প্রথম ব্লাস্ট রোগ দেখা দেয়। এ রোগে আক্রান্ত ফসলের উৎপাদন শতকরা ২৫ থেকে৩০ ভাগ হ্রাস পেয়েছে।
কৃষিমন্ত্রী সরেজমিনে গবেষণা মাঠ পরিদর্শন শেষে বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটে মুজিববর্ষ উপলক্ষে ‘বঙ্গবন্ধু কর্ণার’ উদ্বোধন করেন।
পরে মন্ত্রী দুপুরে ইনস্টিটিউট চত্বরে চার দিনব্যাপী ‘কৃষি প্রযুক্তি প্রদর্শন মেলা-২০২১’ এর উদ্বোধন করেন এবং কর্মশালায় কর্মকর্তাদের সাথে মতবিনিময় সভায় যোগ দেন।
সেসময় জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, কৃষি মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মেসবাহুল ইসলাম, বাংলাদেশ গম ও ভুট্টা গবেষণা ইনস্টিটিউটের মহাপরিচালক ড. মো. এছরাইল হোসেন, বিএডিসির চেয়ারম্যান ড. অমিতাভ সরকার, বাংলাদেশ চিনি ও খাদ্য শিল্প কর্পোরেশনের চেয়ারম্যান আরিফুর রহমান অপু, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক মো. আসাদুল্লাহ, বারির মহাপরিচালক নাজিরুল ইসলাম, আন্তর্জাতিক ভুট্টা ও গম উন্নয়ন কেন্দ্র-সিমিটের বাংলাদেশ প্রতিনিধি টিমোথি জে. ক্রুপনিক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।