মে ১৭, ২০২৩, ০৬:২৯ পিএম
দেশের উন্নয়ন আর অগ্রযাত্রাকে নস্যাৎ করে দিতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্ত চলছে উল্লেখ করে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের বর্তমান অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখাই হবে তার সরকারের মূল প্রচেষ্টা। ৭৫ পরবর্তী সময়ে ভোট ডাকাতরা এখন গণতন্ত্র ও ভোটাধিকারের ছবক দিচ্ছে বলেও তিনি মন্তব্য করেন।
শেখ হাসিনার ৪৩তম স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবনে আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা শুভেচ্ছা জানাতে গেলে শেখ হাসিনা এসব কথা বলেন।
এসময় আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “সৎ উদ্দেশ্যে কাজ করলে যে কোনো জায়গাতেই সফলতা নিয়ে আসা সম্ভব হয়, সেটা মেনেই আমি কাজ করি। দেশের মানুষের উন্নত জীবন নিশ্চিত করাই আমার বড় লক্ষ্য।”
ভোটাধিকার বিষয়ে সচেতন করতে আওয়ামী লীগের অবদানের কথা তুলে ধরে দলের সভাপিতি বলেন, “ভোটের অধিকার আর গণতন্ত্র কবে ছিল এই দেশে? ৭৫-এর পর তো ভোট চুরির সংস্কৃতি গড়ে উঠেছিল। অথচ বিভিন্ন সংস্কারের মাধ্যমে নির্বাচনকে গণমুখী করে মানুষকে ভোটাধিকারের বিষয়ে সচেতন করতে কাজ করেছে কেবল আওয়ামী লীগ।”
এসময় তিনি আরও বলেন, “স্বচ্ছ ব্যালট বাক্স থেকে ছবিসহ নির্ভুল ভোটার তালিকা প্রণয়ন ও ন্যাশনাল আইডি কার্ড; সবই তো আওয়ামী লীগের মাধ্যমেই হয়েছে। তারপরও কেউ যদি আমাদের ভোটাধিকার আর গণতন্ত্রের ছবক দিতে আসে; তাদের বিষয়ে আসলে কিছুই বলার নাই আর।”
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “ভোট ডাকাতরা এখন গণতন্ত্র আর ভোটের অধিকারের কথা বলে। অবৈধভাবে জন্ম নেয়া দলের কাছে শুনতে হয় এ সমস্ত কথা। এগুলো মাঠের কথা মাঠেই থাকবে; আমরা থাকবো জনতার সঙ্গে। কারণ জনগণের আস্থা-বিশ্বাস অর্জন করেই তো আমরা ক্ষমতায় এসেছি। মানুষের ওই বিশ্বাস-আস্থাটাই আমাদের একমাত্র শক্তি, আর কোনো শক্তি নেই। দেশের জনগণই আওয়ামী লীগের একমাত্র বন্ধু, এই কথাটা সবাইকে স্মরণে রাখতে হবে।”
এসময় শেখ হাসিনা আরও বলেন, “নির্বাসন জীবন থেকে ফিরে এসে, কোনো স্বজনকে নয়, পাশে পেয়েছিলাম এ দেশের অগণিত মানুষকে। সেই থেকে জনগণ আর দলই আমার পরিবার।”
আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো দল জনগণের জন্য কাজ করে না মন্তব্য করে শেখ হাসিনা দলীয় নেতাদের উদ্দেশ্যে বলেন, “ধন-সম্পদ কারও চিরদিন থাকে না। মরলে সবাইকে মাটির নিচে যেতে হবে। কেউ কিছু নিয়ে যেতে পারে না। বেশি করলে...বদনামটা নিয়ে যেতে হয়। কাজেই সেটা যেনো না হয়।” এসময় তিনি খুনি-সন্ত্রাসী-যুদ্ধাপরাধীদের দল কখনও যেনো আর দেশের মানুষের ভাগ্য নিয়ে ছিনিমিনি খেলতে না পারে, সে বিষয়ে সবাইকে সতর্ক থাকার আহবান জানান।