পদ্মা সেতুর নাট-বল্টু খুলে টিকটক ভিডিও বানানো নিয়ে কথা বলেছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব খন্দকার আনোয়ারুল ইসলাম।
তিনি বলেন, স্ক্রু খোলার কথাটা আসছে, ইন্টারন্যাশনাল স্ট্যার্ডাডে আমাদের যে ওয়ালটুকু আছে অতটুকু দিয়েই গাড়ি চলে। কিন্তু আমাদের রোডস অ্যান্ড হাইওয়ের স্ট্যার্ডাড চার ফুট। সেজন্য আরও এক ফুট উঁচু করে রেলিং দেওয়া হয়েছে। এটা মানুষের সেফটির জন্য নয়, এটা আমাদের স্ট্যার্ডাডটাকে কাভার করার জন্য।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে ভার্চুয়াল মন্ত্রিসভা বৈঠক হয়। গণভবন থেকে প্রধানমন্ত্রী ও মন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীরা সচিবালয়ের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের সভা কক্ষ থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বৈঠকে যোগ দেন।
তিনি বলেন, দুই-তিন মাস আগে আমি এবং পদ্মার কয়েকজন কনসালটেন্ট ও পিডিসহ লেটেস্ট সবচেয়ে বড় ব্রিজ যেটা কুয়েতে উদ্বোধন করা হয়েছে, সেটা সাগরের মধ্যে ৩৬ কিলোমিটার, সেটা আমরা দেখে এলাম, আমাদের যেটুকু ওয়াল ওদের অতটুকু গ্রিল দিয়ে প্রটেকশন দিয়েছে। ক্যান ইউ ইমাজিন দিস! সাগরের মাঝে যদি কোনো কারণে, আমাদের তো ওয়ালের মধ্যে গাড়ি ধাক্কা খেলে ফেরত আসবে। কিন্তু ওরা গ্রিল দিয়ে প্রটেকশন দিয়েছে। ওদের প্রটেকশনটা আমাদের ওয়াল যতটুকু ততটুকুই।
খন্দকার আনোয়ারুল বলেন, পদ্মা সেতুর উদ্বোধনের দিন বিকেলে কোরিয়ান এক্সপ্রেস করপোরেশন টেকওভার করেছে, পরের দিন থেকে তারা টোল ম্যানেজমেন্ট ও মেইনটেন্যান্স দেখবে। কোরিয়ান এক্সপ্রেস করপোরেশন হলো ওয়ার্ল্ডের বেস্ট কোম্পানি, যারা হাইওয়ে ও ব্রিজ ম্যানেজমেন্ট করে। ওরা ১৭ কিলোমিটার দীর্ঘ ইনচেন ব্রিজের ডিজাইনার ও টোল ম্যানেজমেন্ট করে। ওদের ওই ব্রিজে লোকজন হাঁটতে পারে না। এখন তারা অডিট করবে। প্রত্যেকটা জয়েন্ট আছে, নাট আছে। অডিট করে নিজেরা ঠিক করতে পারে, টাইট করে দেবে।
‘সুতরাং বিভিন্ন জায়গায় যে কনফিউশন আছে, এটার সঙ্গে সেফটি-সিকিউরিটির কোনো সম্পর্ক নেই।’
পদ্মার ওপরে মানুষ যাওয়ার কোনো সিস্টেম রাখা হয়নি বলে জানান সেতু বিভাগের সাবেক সচিব খন্দকার আনোয়ারুল।