ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. সুব্রানিয়াম জয়শঙ্কর ঢাকায় পৌঁছানোর পরেই রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন পদ্মায় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে মোমেনের সঙ্গে বৈঠকে বসেছেন। সকাল সাড়ে ১১টায় শুরু হওয়া বৈঠকে আগামী ২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর সফর নিয়ে আলোচনা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
এর আগে বুধবার পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম ভারতীয় পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরের বিভিন্ন দিক নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।
তিনি বলেন, “সামনে আমাদের মুজিববর্ষের চলমান কর্মসূচির অংশ হিসাবে এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ১৭ মার্চ থেকে ২৬ মার্চ বেশ কিছু অনুষ্ঠান সাজানো হচ্ছে।
”সেটা সামনে রেখে ভারতের প্রধানমন্ত্রীর একটি সফর হওয়ার কথা রয়েছে। সব সফরকে ঘিরে আমাদের প্রত্যাশা থাকে, অন্ততপক্ষে জটিল বিষয়গুলোকে আলোচনা করে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যাপার থাকে, এগুলো নিয়ে আলাপ করার জন্য ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশ সফর করবেন।”
মোদীর সফর ঘিরে যোগাযোগ বা ‘কানেক্টিভিটির’ ক্ষেত্রে সহযোগিতার বিষয়টি জোর পেয়েছে মন্তব্য করে শাহরিয়ার আলম বলেন, “যোগাযোগের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা হবে। নতুন একটি ট্রেন সার্ভিস চালু হওয়ার কথা রয়েছে। সেটি আশা করি, আমরা চালু করতে পারব খুব শিগগিরই। সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এ ব্যাপারে চূড়ান্ত ঘোষণা দেবে।”
পাশাপাশি আঞ্চলিক সহযোগিতার উল্লেখযোগ্য ঘটনা নিয়েও আলোচনা হবে জানিয়ে পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, “কোভিড-১৯ কেবল একটি স্বাস্থ্যগত জরুরি অবস্থা নয়, এটি অর্থনৈতিক জরুরি অবস্থাও তৈরি করেছে। বিশেষ করে বিশ্বের উন্নত রাষ্ট্রগুলো একটি বড় অর্থনৈতিক সমস্যার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। এটার একটি বড় প্রভাব কিন্তু আমাদের মত সরবরাহকারী দেশগুলির উপর পড়তে পারে।
এস জয়শঙ্কর দ্বিপক্ষীয় বৈঠক শেষে গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করবেন। পরে ভারতীয় হাইকমিশনে নাগরিক সমাজের একটি প্রতিনিধিদলের সঙ্গে এস জয়শঙ্কর মতবিনিময় করবেন।
আজ রাতে এস জয়শঙ্করের দিল্লি ফিরে যাওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে, সকাল ১০টার দিকে ভারতীয় বিমানবাহিনীর একটি বিশেষ ফ্লাইটে এক দিনের সফরে তিনি ঢাকায় পৌঁছান এস জয়শঙ্কর। বিএএফ বাশার ঘাঁটিতে তাঁকে স্বাগত জানান বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে এটি এস জয়শঙ্করের দ্বিতীয় ঢাকা সফর। এর আগে ২০১৯ সালের আগস্ট মাসে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে প্রথমবার ঢাকা সফর করেন এস জয়শঙ্কর। আর গত বছরের আগস্টে অনেকটা আকস্মিকভাবে ঢাকা সফর করে যান দেশটির পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা। এ বছরে জানুয়ারিতে দিল্লি সফর করেন বাংলাদেশের পক্ষে পররাষ্ট্র সচিব মাসুদ বিন মোমেন।