পুলিশি নিরাপত্তায় নায়িকা পরীমণি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুন ১৪, ২০২১, ০৩:১৪ পিএম

পুলিশি নিরাপত্তায় নায়িকা পরীমণি

‘ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার’ শিকার অভিনেত্রী পরীমণিকে পুলিশি নিরাপত্তা দেওয়া হয়েছে। রবিবার (১৩ জুন) রাত থেকেই তাকে  নিরপত্তা দেওয়া হচ্ছে। বিষয়টি দ্য রিপোর্টকে নিশ্চিত করেছেন বনানী থানার  ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নূরে আজম মিয়া।

সোমবার দুপরে তিনি দ্য রিপোর্টকে বলেন, ‘রবিবার রাত থেকেই তাকে ‍পুলিশ প্রহরায় রাখা হয়েছে। বনানীতে তার বাসার আশপাশে পুলিশ টহল জোরদার করা হয়েছে। ছয়জনের একটি পুলিশ ভ্যান তার বাসার সামনের ও পাশের রাস্তাগুলোতে মুভমেন্ট করছে।’

কতদিন ধরে এই নিরাপত্তা দেওয়া হবে জানতে চাইলে বনানী থানার এই কর্মকর্তা আরও বলেন, ‘এটা বলা যাচ্ছে না। তবে যতদিন পরিস্থিতির উন্নতি না হবে ততদিন তার বাসার সামনে ও চলাফেরায় পুলিশের মুভমেন্ট থাকবে।’

রবিবার রাতে বনানীর নিজ বাসায় সংবাদ সংম্মেলন করে নিজেকে ‘ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার’ বিস্তারিত ঘটনা তুলে ধরেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরীমণি। এসময় চরম নিরাপত্তায় ভুগছেন দাবী করে কেঁদে ফেলেন। বনানী থানার ওসি বলেন, ‘তিনি যেহেতু নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন, আমাদের দায়িত্ব প্রত্যেক নাগরিকের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা। তাকে আমরা বিশেষ প্রহরায় রাখছি। তার নিরাপত্তার জন্য যা যা করণীয়, তা–ই করা হচ্ছে।’

পরীমণি ওই সংবাদ সম্মেলনে আরও জানান, ১০ জুন রাতে পারিবারিক বন্ধু অমি ও ব্যক্তিগত রূপসজ্জাশিল্পী জিমির সঙ্গে বাইরে বেড়াতে বের হয়েছিলেন তিনি। রাত ১২টার পর অমি তাঁদের নিয়ে যান আশুলিয়ার ঢাকা বোট ক্লাবে। সেখানে মদ্যপানরত কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে পরীমণির র পরিচয় করিয়ে দেন অমি। পরীর দাবী ওই ব্যক্তিদেরই একজন নাসির, যে হঠাৎ জোর করে তাঁর মুখে পানীয়র গ্লাস চেপে ধরে এবং শ্লীলতাহানির চেষ্টা করে। এ সময় মারধর করা হয় পরীর সঙ্গে থাকা জিমিকেও। তিনি বলেন সেখানকার ওয়েটাররা তাদেরকে ক্লাবটি থেকে বের করে নিয়ে আসে এবং ক্লাবের সকল সিসিটিভি ক্যামেরাতেও এগুলো সব রেকর্ড হয়ে রয়েছে। 

তিনি জানান যে তিনি নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন এবং তার হঠাৎ মৃত্যু হলে তা আত্মহত্যা নয় বরং খুন হবে বলে জানিয়ে রাখেন। এসব ঘটনা বর্ণনা করতে গিয়ে তিনি কান্নায় ভেঙ্গে পড়েন।

রবিবার রাতে পরীমণি আরও বলেন, ‘যেদিন রাতে তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়, সেদিনই ভোরে অভিযোগ জানাতে তিনি বনানী থানায় হাজির হন। কিন্তু ওই মুহূর্তে থানা পরীমনির অভিযোগ না নিয়ে পুলিশ প্রহরায় বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার একটি হাসপাতালে নিয়ে যায়। কিছুক্ষণ পর পরীমনি ভয়ে চিকিৎসা না নিয়ে হাসপাতাল থেকে বাসায় চলে আসেন। এরপর চার দিন ধরে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতিসহ নানা জায়গায় ধরনা দিয়ে কারও কোনো সহযোগিতা না পেয়ে নিজের কোটি অনুসারীর ফেসবুক পেজ থেকে পোস্ট দিয়ে জানান, তাঁকে ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টা করা হয়েছে।

Link copied!