ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৩, ০৬:৪৯ পিএম
বিরোধীদলের ‘কর্মসূচি বানচাল’র লক্ষ্যে আওয়ামী লীগ সরকার ক্রমাগত দ্বন্দ্ব সংঘাতের ‘উসকানি দিচ্ছে’ মন্তব্য করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেছেন, ক্ষমতাসীন দলের ওই প্ররোচনার ফাঁদে বিএনপি পা না দেওয়ায় আওয়ামী লীগের নেতা ও মন্ত্রীরা হতাশ হয়ে আবোল-তাবোল কথা বলে লোক হাসাচ্ছে।”
বুধবার রাজধানীর গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত ওই সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি বিএনপির স্থায়ী কমিটির আলোচনা সংবাদমাধ্যমে তুলে ধরতে এ সংবাদ সম্মেলন আহ্বান করা হয়।
বিএনপির শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক আন্দোলন ক্রমান্বয়ে বেগবান হবে উল্লেখ করে ড. খন্দকার মোশাররফ বলেন, “জনগণ সরকারকে পদত্যাগে ও নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরে বাধ্য করবে। দেশ ও দেশের মানুষের কল্যাণে এবং মহান স্বাধীনতার ফসল গণতন্ত্র পুনঃরুদ্ধারে দেশের সব শ্রেণি-পেশার জনগণ ও গণমাধ্যমের সহযোগিতা কামনা করি।”
বিএনপির সিনিয়র এই নেতা আরও বলেন,‘গত ১১ ফেব্রুয়ারি ১০ দফা দাবি এবং নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির অব্যহত মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে সারা দেশে সব ইউনিয়নে যে পদযাত্রা কর্মসূচি ছিল তা সফলভাবে পালিত হলেও দেশের বেশ কিছু জেলায় বিভিন্ন ইউনিয়নে শান্তিপূর্ণ পদযাত্রায় যোগদানকারী নেতাকর্মীদের ওপর সরকারি দলের তথাকথিত শান্তি সমাবেশ থেকে আক্রমণ চালায়। এতে বিএনপির শতশত নেতাকর্মী আহত ও গুলিবিদ্ধ হয়েছে।”
ড. মোশাররফ বলেন,‘বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই পুলিশের ভূমিকা ছিল দর্শকের কিংবা ক্ষমতাসীনদের পক্ষে। এমনকি আহত নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধেও মামলা দেওয়া হয়েছে। আসামি করা হয়েছে হাজার হাজার নেতাকর্মীকে, গ্রেপ্তার করা হয়েছে অসংখ্য নেতাকর্মীকে। আমরা এসব অগণতান্ত্রিক ও নিপীড়নমূলক কার্যক্রমের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।”
একই সময় পাল্টপাল্টি কর্মসূচি দেওয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সমালোচনা করে তিনি বলেন, “সরকারি দলের সম্মেলনের দিন আমরা ঘোষিত কর্মসূচি স্থগিত করেছিলাম। অথচ তারা আমাদের প্রতিটি কর্মসূচির দিন পাল্টা কর্মসূচি দিয়ে চলেছে। রাজনৈতিক সংস্কৃতিতে এসব ঘটনা বর্জনীয় বলেই তা জনগণ প্রত্যাখ্যান করে নিন্দা জানায়। জনগণ আশা করে সরকারি দল রাজনৈতিক কর্মসূচীর নামে এমন সহিংস তৎপরতা বন্ধ করবে।”
সংবাদ সম্মেলনে ড. মোশাররফ হোসেন আরও বলেন, “বিএনপি গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, জনগণের দূর্ভোগ মোচন এবং দেশ ও দেশের জনগণকে দুর্নীতি, অনাচার, লুট ও ধ্বংসের হাত থেকে বাঁচাতে এবং রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে অন্যায়ভাবে কারারুদ্ধ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়াসহ রাজনৈতিক কারণে আটক নেতাকর্মীদের মুক্ত করতে যে আন্দোলন হচ্ছে তা আরও বেগবান হবে।’
সংবাদ সম্মেলনে অন্যদের মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বেগম সেলিমা রহমান উপস্থিত ছিলেন।