অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে মামলা দায়েরের পর ভারতে পালিয়ে যাওয়া এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক ও রিলায়েন্স ফাইন্যান্স লিমিটেডের সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক পি কে হালদারসহ তার পাঁচ সহযোগিকে ফের ১৫ দিনের জেল হেফাজত দিয়েছেন ভারতের ব্যাংকশাল সিবিআই স্পেশাল আদালত।
মঙ্গলবার পিকে হালদারের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে আদালতের বিচারক জীবন কুমার সাধু জেল হেফাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
বাংলাদেশ থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে ভারতের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট (ইডি) ১৫ দিন পরেই চার্জশিট জমা দিবে। ইডির আইনজীবী অরিজিৎ চক্রবর্তী গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পি কে হালদারকে জিজ্ঞাসাবাদে পশ্চিমবঙ্গের বেশ কিছু প্রভাবশালীদের নাম বেরিয়ে এসেছে উল্লেখ করে অরিজিৎ চক্রবর্তী ভারেতীয় গণমাধ্যমকে বলেন, “তাদের নাম চার্জশিটে যুক্ত হতে পারে। তবে ওই চার্জশিটের বাইরে থাকবে বাংলাদেশি প্রভাবশালীদের নাম।”
ইডির আইনজীবী আরও বলেন, “অভিযুক্ত প্রাণেশ হালদারের আগাম জামিন প্রত্যাহার করে নিয়েছে আদালত। অন্যদিকে বাকিদের জামিন আবেদনও খারিজ হয়েছে।”
প্রসঙ্গত, পি কে হালদার নাম পরিবর্তন করে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের উত্তর চব্বিশ পরগনা জেলার অশোক নগরের একটি বাড়িতে আত্মগোপনে ছিলেন। সেখানে শিবশঙ্কর হালদার পরিচয়ে ভারতীয় নাগরিকত্বও নেন তিনি। এ ছাড়া ভারতে একাধিক অভিজাত বাড়িসহ বিপুল সম্পদ গড়ে তুলেছেন। চলতি বছরের গত ১৪ মে অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে ভারতের কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।
দেশের বিভিন্ন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে হাজার হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচার করেন পি কে হালদার। দুদক তার ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে ৩৪টি মামলা করেছে। এসব মামলায় এক ডজনেরও বেশি ব্যক্তি কারাগারে রয়েছেন। তাদের মধ্যে ১১ জন দোষ স্বীকার করে জবানবন্দিও দিয়েছেন।