ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন বাতিল হচ্ছে না বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক। তিনি বলেন, ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টের কিছু অপব্যবহার হয়েছে। আর তাই ভবিষ্যতে কোন সাংবাদিকসহ যাদের বিরুদ্ধে মামলা হবে সেখানে গ্রেপ্তার বা সমন দেয়ার ক্ষেত্রে আদালত যাতে ভূমিকার রাখেন সেজন্য পিপিদের নজরদারি করতে বলেন।
শনিবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু সম্মেলনে কেন্দ্রে সারাদেশের জিপি ও পিপিদের নিয়ে এক মতবিনিময় সভায় আইনমন্ত্রী এ কথা জানান।
আইনমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বে মামলাজট এক বিরাট সমস্যা হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। বাংলাদেশও এই সমস্যার বাইরে নয়। মামলাজট থেকে বেরিয়ে আসার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার অনেক রকম পদক্ষেপ নিয়েছে। আরও অনেক পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এর অংশ হিসেবে দেওয়ানি কার্যবিধির (সিপিসি) কিছু ধারা সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
আনিসুল হক বলেন, সিপিসি যখন তৈরি করা হয়েছিল তখন প্রযুক্তির এতো উন্নয়ন হয়নি। প্রযুক্তির উন্নয়নের কারণে এখন বাংলাদেশ থেকে আমেরিকায় খবর পাঠাতে সময় লাগে কয়েক সেকেন্ড। পৃথিবী যখন এতো এগিয়ে গেছে, আমার মনে হয় সিপিসির যেখানে বলা আছে অমুকটার জন্য ৪৫ দিন সময় দিতে হবে, অমুকটার জন্য ৬০ দিন সময় দিতে হবে। এতো সময়ের আর প্রয়োজন নেই।
তিনি বলেন, আদালত ও বিচারক সংখ্যা বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাক্ষ্য আইন যুগোপযোগী করা হচ্ছে। এই আইনের ১৫৫(৪) ধারা বাতিল করা হচ্ছে। এনআই অ্যাক্ট, ১৮৮১ সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। এছাড়া বিকল্প বিরোধ নিষ্পত্তির (এডিআর) ওপর জোর দেওয়া হয়েছে।
আইনজীবীদের উদ্দেশে আইনমন্ত্রী বলেন, আপনারা আগে দেখবেন ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্টে কোনো একটি ঘটনায় আদৌ মামলা হয়েছে কি না। তারপর সেটা বিবেচনা করবেন।