বিয়ের অনুষ্ঠানে টক দইকে কেন্দ্র করে বর ও কনেপক্ষের হাতাহাতির জের ধরে মারা গেলেন কনের বাবা। মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার কসবা উপজেলার গোপীনাথপুর ইউনিয়নের গণকমোড়া গ্রামে এই ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানিয়েছে, মঙ্গলবার (৫ অক্টোবর) দুপুরে গোপীনাথপুর ইউনিয়নের বিষ্ণুউড়ী গ্রামের দুলাল মিয়ার ছেলে পারভেজের সঙ্গে একই ইউনিয়নের গণকমোড়া গ্রামের ইকবাল হোসেনের মেয়ে কারিমার বিয়ে হয়। ওই দিন দুপুরে বিয়ের ভোজে কনের বাড়িতে বরপক্ষের লোকসহ কনেপক্ষের অতিথিরাও অংশ নেন। খাবারের শেষ পর্যায়ে বাঁধে দই নিয়ে সমস্যা।
তীব্র গরমে টক হয়ে যাওয়া দই দেওয়াকে কেন্দ্র করে কনেপক্ষের লোকজনের সঙ্গে বরপক্ষের বাদানুবাদ হয়। এক পর্যায়ে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে এ নিয়ে স্থানীয়ভাবে সালিশি বৈঠকে কনেপক্ষের লোকজন বরপক্ষের কাছে ক্ষমা চেয়ে ঘটনাটি শেষ করেন।
কিন্তু ঘটনার জের ধরে বুধবার (৬ অক্টোবর) রাতে বিষ্ণুউড়ী গ্রামের ১৫/২০ জনের একটি দল রাত সাড়ে ১০ টার দিকে স্থানীয় বাজারের একটি চায়ের দোকানে হামলা চালিয়ে কনের বাবা ইকবালকে আহত করেন। পরে আহত ইকবালকে কসবা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনি মারা যান। এ ঘটনায় আরও চারজন আহত হয়েছেন।
পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) দুপুরে নিহতের লাশ ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায় কসবা থানা পুলিশ।
এবিষয়ে কসবা থানার ওসি মো. আলমগীর ভূইয়া জানান, ‘প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, দুই পক্ষের উত্তেজনা চলাকালে ধাক্কা খেয়ে স্ট্রোক করে ইকবাল হোসেনের মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে। কারণ তার বাইপাস সার্জারি হয়েছিল। তার হার্টে তিনটি রিং পরানো ছিল’।
নিহতের স্ত্রী জোৎসনা বেগম বাদী হয়ে স্বামীর হত্যার বিচার চেয়ে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।