ডিসেম্বর ২, ২০২১, ০৯:২৩ পিএম
আসছে ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশ ও ভারতের যৌথ আয়োজনে পালিত হতে যাওয়া মৈত্রী দিবসকে দুই দেশের জনগণের গভীর ও চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতিফলন হিসেবে মনে করে দিল্লি- এমনটাই জানিয়েছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
বৃহস্পতিবার (২ ডিসেম্বর) ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নিজস্ব ওয়েবসাইটে প্রকাশিত ওই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, চলতি বছরের মার্চ মাসে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে আসা ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ঢাকা সফরের সময় দুই দেশের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে ৬ ডিসেম্বরকে ‘মৈত্রী দিবস’ (বন্ধুত্ব দিবস) হিসেবে পালনের সিদ্ধান্ত হয়। স্বাধীনতা অর্জনের ১০ দিন আগেই ভারত ১৯৭১ সালের ৬ ডিসেম্বর বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দিয়েছিল। বাংলাদেশের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনকারী প্রথম দেশগুলোর মধ্যে ভারত একটি বলেও সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ঢাকা ও দিল্লিতে আয়োজন ছাড়াও যৌথভাবে বিশ্বের ১৮টি দেশে মৈত্রী দিবস পালন করা হচ্ছে। দেশগুলো হলো-বেলজিয়াম, কানাডা, মিশর,ইন্দোনেশিয়া, রাশিয়া, কাতার, সিংগাপুর, যুক্তরাজ্য, অস্ট্রেলিয়া, ফ্রান্স, জাপান, মালয়েশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, সুইজারল্যান্ড, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত ও যুক্তরাষ্ট্র।
মৈত্রী দিবসের আয়োজন ভারত ও বাংলাদেশের জনগণের মধ্যে গভীর ও চিরস্থায়ী বন্ধুত্বের প্রতিফলন বলেও ওই সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জনানো হয়।
প্রসঙ্গত, ১৯৭১ সালে স্বাধীন ও সার্বভৌম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে কূটনৈতিক স্বীকৃতি দিয়েছিল ভারত। একই দিনে কিছু সময় আগে বিশ্বের প্রথম দেশ হিসেবে বাংলাদেশকে স্বীকৃতি দেয় ভুটান।
চলতি বছর বাংলাদেশ পালন করছে জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার ৫০ বছর। বছরটি বাংলাদেশ-ভারত কূটনৈতিক সম্পর্কেরও ৫০তম বছর। এ বছরই প্রথম বাংলাদেশ-ভারত যৌথভাবে আরো ১৮টি দেশে মৈত্রী দিবস পালন করছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, দিল্লিতে মৈত্রী দিবসের বিশেষ আলোচনা সভায় ভিডিও বার্তায় বক্তব্য দেবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বক্তৃতামালা’ নামে বার্ষিক স্মৃতি বক্তব্যের আয়োজন করা হয়েছে। এখন থেকে প্রতি বছরই ‘বঙ্গবন্ধু স্মৃতি বক্তৃতামালা’অনুষ্ঠান পালন করা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীন ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব ওয়ার্ল্ড অ্যাফেয়ার্স অয়োজিত ওই অনুষ্ঠানে এ বছর মূল বক্তব্য দেবেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সাবেক হাইকমিশনার ও বর্তমান পররাষ্ট্র সচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
এদিকে, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, একই দিনে নয়াদিল্লির ঐতিহ্যবাহী ‘কামানি প্রেক্ষাগৃহ’ মিলনায়তনে বাংলাদেশ হাইকমিশন একটি বিশেষ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। অনুরূপভাবে ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশন ‘বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্র' মিলনায়তনে একই ধরনের অনুষ্ঠান আয়োজন করবে। এসব অনুষ্ঠানে নিজ নিজ দেশের বরেণ্য শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করবেন।