নতুন বছরের প্রথম সংসদ অধিবেশন আগামীকাল রবিবার বিকেল ৪টায় শুরু হচ্ছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণের কারণে অন্য অধিবেশনগুলোর মতো এবারও স্বাস্থ্যবিধি মেনে জাতীয় সংসদের বৈঠক চলবে। তবে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রনের বিস্তারের জন্য বাড়তি কড়াকড়ি আরোপ করা হচ্ছে বলে জানা গেছে।
রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ একাদশ জাতীয় সংসদের ষষ্ঠদশ অধিবেশন আহ্বান করেছেন বলে জানিয়েছেন সংসদ সচিবালয়ের উপসচিব নাজমুল হক।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, বছরের প্রথম অধিবেশনে সংবিধানের বিধান অনুযায়ী সংসদে ভাষণ দেবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এই অধিবেশন সাধারণত দীর্ঘ হয়ে থাকে। করোনাকালের অন্যান্য অধিবেশনের মতো এই অধিবেশনও স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরিচালনা করা হবে। সংসদের পঞ্চদশ অধিবেশন গত ২৮ নভেম্বর শেষ হয়। সংবিধান অনুযায়ী, জাতীয় সংসদের এক অধিবেশন থেকে আরেক অধিবেশনের মধ্যে সর্বোচ্চ ৬০ দিনের বিরতি দেওয়ার সুযোগ রয়েছে।
ওই সূত্র আরও জানায়, অধিবেশনের শুরুর দিন কোভিড-১৯ পরীক্ষায় নেগেটিভ সনদ পাওয়া সব সংসদ সদস্য অংশ নেবেন। এরপর থেকে তাদের তালিকা অনুযায়ী প্রবেশ করানো হবে।সংসদের হুইপরা এ নিয়ে তালিকা তৈরিও করে ফেলেছন।
সরকারি দলের হুইপ ইকবালুর রহিম গণমাধ্যমকে বলেন, ‘এবার অধিবেশনে সংসদ কক্ষে বাড়তি কর্মচারীও রাখা হবে না। ঠিক যে কয়জন দরকার সেই অনুযায়ী রাখা হবে। সংসদ সদস্যরা যারাই বৈঠকে যোগ দেবেন তাদের করোনাভাইরাস পরীক্ষা করাতে হবে।’
তিনি জানান, শুরু হতে যাওয়া এই অধিবেশন ফেব্রুয়ারি মাসের মাঝামাঝি পর্যন্ত চলতে পারে। মহামারিকালে এই অধিবেশন সংক্ষিপ্ত হলেও বছরের শুরুর অধিবেশন ৩০ কার্যদিবস চলারও রেকর্ড আছে।
সংসদ সচিবালয়ের সংশ্লিষ্ট শাখা থেকে জানা গেছে, এবার নতুন চারটি খসড়া আইন সংসদে তোলার জন্য জমা পড়েছে। খসড়া আইনগুলো হলো-বেসরকারি মেডিকেল কলেজ ও ডেন্টাল কলেজ বিল, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশন (অ্যামেন্ডমেন্ট) বিল, বাণিজ্য সংগঠন বিল এবং পেমেন্টস অ্যান্ড সেটেলমেন্টস বিল। এ ছাড়া আগের সাতটি বিল সংসদীয় কমিটিতে পরীক্ষাধীন রয়েছে বলেও জানা গেছে।