পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান বলেছেন, সরকারি কর্মকর্তাদের বড় গাড়ি, বড় বাড়িসহ বিশেষ সুবিধা দেয়া নিয়ে ভাবতে হবে।ব্যয়ের ক্ষেত্রে সরকার এখন এক ধরনের কৃচ্ছ্রতার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। বড় কর্মকর্তাদের বড় গাড়ি, বড় বাড়ি—এসব জায়গায়ও পরিবর্তন আনতে হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, বোতলে দুধ খেয়ে অভ্যস্ত হয়ে গেলে কেউ বোতল ছাড়তে চায় না। এটাই সহজাত প্রবৃত্তি। তাই বুঝিয়ে, শুনিয়ে বোতল ছাড়াতে হবে।
সোমবার (১৫ মে) সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগ (সিপিডি) ও নাগরিক প্ল্যাটফর্ম কর্তৃক যৌথভাবে আয়োজিত এক সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পরিকল্পনামন্ত্রী এ কথা বলেন।
"আইএমএফের সময়কালে অসুবিধাগ্রস্ত মানুষের কথা জাতীয় বাজেটে কীভাবে প্রতিফলিত হতে পারে" শীর্ষক এ সংলাপ রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে অনুষ্ঠিত হয়। সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল এ সংলাপে সভাপতিত্ব করেন।
পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, এগুলো (বড় কর্মকর্তার বড় গাড়ি, বড় বাড়ি) ব্রিটিশ আমলে প্রয়োজন ছিল। এসব সুবিধা না পেলে কর্মকর্তারা এ দেশে আসতে চাইতেন না।
মন্ত্রী বলেন, সরকার ব্যয় কমিয়ে জাস্টিফাই করতে চেষ্টা করছে। এই মূহুর্তে এটি সরকারের বড় টার্গেট। প্রকল্প বাস্তবায়ন মানে এতোদিন ছিলো ভবন বানাও, গাড়ী কিনো। কিন্ত এখন এসব পরিহার করা হচ্ছে। প্রণোদনার নামে উম্মাদনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।
এম এ মান্নান বলেন, বোতলে দুধ খেয়ে অভ্যস্ত শিশু বোতল ছাড়তে চান না। মা হিসেবে সরকার বোতল ছাড়ানোর চেষ্টা করছে। তবে কৃষকদেরকে দেয়া ভর্তুকি বাড়ানো হবে।
মন্ত্রী আরও বলেন, প্রবাসীদের পাঠানো অর্থের বিপরীতে সরকার আড়াই শতাংশ হারে প্রণোদনা দিচ্ছে। তারপরও সরকার হুন্ডির কাছে হেরে যাচ্ছে।
রিজার্ভ প্রসঙ্গে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, রিজার্ভ নিয়ে অনেক কথা হচ্ছে। আগে তো রিজার্ভ নামে কিছু সম্পর্কে মানুষ কিছু জানতোই না। রিজার্ভ বাড়বে, কমবে—এটাই স্বাভাবিক। ইদানিং কমে যাওয়ার পরিমাণটা বেড়ে গিয়েছিল, তাই চোখে পড়েছে বেশি। আগে তো কেউ খবরও রাখতেন না।
তিনি বলেন, ৩০ বিলিয়ন ডলার রিজার্ভ মন্দ নয়। এই রিজার্ভ দিয়ে আগামী ৪ থেকে ৫ মাসের খাদ্য আমাদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।