প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য গঠিত সার্চ কমিটিতে ১০ জনের নাম জমা দিয়েছে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। বিতর্কমুক্ত ও দলীয় পরিচয় নেই— এমন ব্যক্তিদের প্রাধান্য দিয়ে এ তালিকা তৈরি করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলের নীতিনির্ধারণী মহল। আওয়ামী লীগের নামের তালিকায় বিচারপতি, সাবেক সচিব, সাবেক সামরিক কর্মকর্তা ও শিক্ষাবিদরা রয়েছেন। শুক্রবার আওয়ামী লীগের পক্ষে দলটির তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক ড. সেলিম মাহমুদ ও উপ-দফতর সম্পাদক সায়েম খান মন্ত্রিপরিষদ বিভাগে এ তালিকা জমা দেন।
নামের তালিকা জমা দিয়ে সেলিম মাহমুদ বলেন, সিলগালা খামে করে তালিকা তাঁরা জমা দিয়েছেন। তিনি বলেন, দলের সভাপতি শেখ হাসিনা এবং সভাপতিমণ্ডলীর সদস্যদের সিদ্ধান্তে নামের তালিকা করা হয়েছে। তাঁরা শুধু বার্তাবাহক হিসেবে চিঠি জমা দিয়েছেন। কাদের নাম আছে, তা জানেন না।
মন্ত্রীপরিষদ বিভাগ থেকে জানানো হয়েছে, আওয়ামী লীগসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল প্রায় ৩শ জনের নামের তালিকা জমা দিয়েছে।
ইসি গঠনে রাষ্ট্রপতির কাছে নাম প্রস্তাবের জন্য শনিবার ও রোববার তিন দফায় বিশিষ্ট নাগরিকদের পরামর্শ নিবে সার্চ কমিটি। এরই মধ্যে ৬০ জনকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
মঙ্গলবার বিকালে দলটির প্রেসিডিয়ামের বৈঠকে প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও কমিশনার হিসেবে যোগ্য ব্যক্তিদের নাম চান আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে অংশ নেওয়া নেতাদের কাছ থেকে কাগজে লিখিত নাম গ্রহণ করা হয়। সেসব নাম থেকে অধিকতর গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিদের নাম দলটির সভাপতি শেখ হাসিনা চূড়ান্ত করে দিলে সার্চ কমিটিতে নামের তালিকা পাঠালো আওয়ামী লীগ।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে দেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। একইদিন (৫ ফেব্রুয়ারি) মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে সার্চ কমিটির বাকি সদস্যরা হলেন— সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এস এম কুদ্দুস জামান, মহা-হিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক (সিএজি) মুসলিম চৌধুরী, সরকারি কর্ম কমিশনের (পিএসসি) চেয়ারম্যান সোহরাব হোসাইন, সাবেক নির্বাচন কমিশনার মুহাম্মদ ছহুল হোসাইন এবং কথাসাহিত্যিক অধ্যাপক আনোয়ারা সৈয়দ হক।
এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, সার্চ কমিটি ‘প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগ আইন, ২০২২’ অনুযায়ী দায়িত্ব ও কার্যক্রম সম্পন্ন করবেন। সার্চ কমিটির কার্যক্রমে প্রয়োজনীয় সাচিবিক সহায়তা দেবে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এই কমিটি প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও চার জন নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য ১০ জনের নাম রাষ্ট্রপতির কাছে প্রস্তাব করবে।