গত বছর বিএনপির ১০ ডিসেম্বরের গণসমাবেশকে সামনে রেখে ৭ ডিসেম্বর বিএনপির নেতাকর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হলে পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় ৮ ডিসেম্বর দিবাগত রাতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে বাসা থেকে আটক করে পুলিশ। নেতাকর্মীদের সাথে পুলিশের সাথে করা সংঘর্ষ নিয়ে পল্টন থানায় করা মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয় তাদের। যদিও মামলার এজাহারে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের নাম ছিল না।
সেই মামলায় স্থায়ী জামিন পেলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস। বুধবার (৮ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিনের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম মুনীর, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল এস এম গোলাম মোস্তফা ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল শেখ মোহাম্মদ মাজু মিয়া। অন্যদিকে বিএনপির দুই নেতার পক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন ও সগীর হোসেন লিয়ন।
এর আগে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসের জামিন আবেদন তিনবার নাকচ হয়। পরে উচ্চ আদালতে যান তারা।
গত ৩ জানুয়ারি বিচারপতি মো. সেলিম ও বিচারপতি মো. রিয়াজ উদ্দিন খানের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুল জারি করে মির্জা ফখরুল ও মির্জা আব্বাসকে ছয় মাসের জামিন দেন। পরে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে। আপিল বিভাগ ৮ জানুয়ারি হাইকোর্টের দেওয়া ছয় মাসের জামিন বহাল রেখে জামিন প্রশ্নে জারি করা রুল ৩০ দিনের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে নির্দেশ দেন। পরে এক মাস কারাভোগের পর গত ৯ জানুয়ারি অন্তর্বর্তীকালীন জামিনে মুক্তি পান বিএনপির এই দুই শীর্ষ নেতা।