হাড্ডাহাড্ডি ভোট হলে মারামারিও হয়: সিইসি

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

জুলাই ২৮, ২০২২, ০১:২৪ পিএম

হাড্ডাহাড্ডি ভোট হলে মারামারিও হয়: সিইসি

নির্বাচন যদি তীব্র প্রতিযোগিতামূলক ও হাড্ডাহাড্ডি হয় তাহলে ভোটের শেষে মারামারিও হয়। বৃহস্পতিবার রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনে সংলাপের দশম দিনে এসে গণফোরামের সঙ্গে আলাপকালে এ মন্তব্য করেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।

সে সময় সিইসি বলেন, 'নির্বাচন হাড্ডাহাড্ডি যখন হয় তখন ভোটের শেষে একটা মারামারি হয়। কালকেও হয়েছে, একটি বাচ্চা মারা গেছে।’

সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘আমি রাত ১০টায় ফোন করেছি, ডিসি এসপিকে ঘটনাটা কি হলো। ইলেকশনটা শেষ হয়ে গেছিলো। শেষ হয়ে যাওয়ার পরই মেম্বার কেন্ডিডেটরা একজনের ওপর হামলা করে বসেছে।’

নিজের এক সহকর্মীর প্রসঙ্গ টেনে সিইসি বলেন, ‘আমাদের এক সহকর্মী প্রায় বলে থাকেন আমাদের মনস্তাত্বিক সমস্যা আছে। আমি ইলেকশন করবো। কিন্তু আমাকে জিততেই হবে। মানে হারতে যে হতে পারে এটা কেউ মেনে নিচ্ছে না। এই মনস্তাত্বিক একটা দৈন্যতা আমাদের মধ্যে আছে। যে কারণে এই সহনশীলতা যদি জাগ্রত করা না যায় তাহলে একটা সংকট থেকে যাবে।’

রাজনৈতিক দলগুলো অনেক বড় উল্লেখ করে হাবিবুল আউয়াল বলেন, ‘দেশের রাজনীতি আপনারা নিয়ন্ত্রণ করেন। আমরা কখনো রাজনীতি নিয়ন্ত্রণ করতে পারি না। আমরা শুধু ভোটের বাক্স একটা ভোটার গিয়ে ওখানে কাগজটা ফেলবে, দায়িত্বটা সীমিত।’

দেশের রাজনীতির সংস্কৃতির প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, ‘এটাকে ধারণ করা লালন করা উন্নত করার যে দায়িত্ব তা আপনাদেরই৷’

সিইসি নিজেদেরকে নগণ্য ব্যক্তি দাবি করে বলেন, ‘আপনাদের (রাজনীতিবিদদের) অনেক বড় করে দেখতে চাই। অনেক বড় করেই দেখি৷ এরপর যারা মাননীয় সংসদ সদস্য আপনাদের মাননীয় সংসদ সদস্যদের দায়িত্ব অনেক বড় হয়ে যায়৷ আপনাদের যেমন প্রত্যাশা আছে আমাদের ওপর সামান্য একটু প্রত্যাশা আমাদের কিন্তু অনেক বড় প্রত্যাশা আপনাদের কাছে। এটা আমি নির্দিধায় বলতে পারি।’

তার বক্তব্যের শেষে তিনি গণফোরামের উদ্দেশে বলেন, ‘মনে কষ্ট নেবেন না অপরাধ নেবেন না।’

দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের কর্মপদ্ধতি ঠিক করতে ভোটের দেড় বছর আগেই রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে সংলাপ করছে ইসি। এ লক্ষ্যে ৩৯টি রাজনৈতিক দলকে আমন্ত্রণ জানানো হয়। তবে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের দাবিতে অনড় থাকা বিএনপিসহ বেশ কয়েকটি সমমনা দল ইসির এ সংলাপ বর্জন করেছে।

Link copied!