রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে আবারও আসছেন আইনের লোক

দ্য রিপোর্ট ডেস্ক

ফেব্রুয়ারি ১২, ২০২৩, ১২:১৯ পিএম

রাষ্ট্রপতির দায়িত্বে আবারও আসছেন আইনের লোক

কে হবেন বাংলাদেশের ২২তম রাষ্ট্রপতি?- এ নিয়ে কয়েক মাস ধরেই চলছিল জল্পনা-কল্পনা। দুই মেয়াদে দায়িত্ব পালন শেষে আগামী ২৩ এপ্রিল কার হাতে দায়িত্ব অর্পণ করবেন বর্তমান রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ-এ নিয়ে আলোচনা চলছিল সবার মুখেই। স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরী, মসিউর রহমান, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেনসহ অনেকের নামই আলোচনায় এলেও শেষে এসে আওয়ামী লীগ দেখালো চমক। 

রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে দলটির মনোনয়ন পেলেন দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) সাবেক কমিশনার আইনজীবী মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু। এই মনোনয়ন চূড়ান্ত করেছেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। রোববার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকালে নির্বাচন কমিশনে দলীয় প্রার্থী হিসেবে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুর নাম দাখিল করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।

জাতীয় সংসদে আওয়ামী লীগের নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা থাকায় আর কোনো দল থেকে প্রার্থী না থাকলে সাহাবুদ্দিন চুপ্পুই হবেন পরবর্তী রাষ্ট্রপতি। 

কে এই সাহাবুদ্দিন চুপ্পু?

পেশায় আইনজীবী সাহাবুদ্দিন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা মণ্ডলীর সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। এর আগে জেলা ও দায়রা জজ এবং দুর্নীতি দমন কমিশনের একজন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এছাড়াও বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সর্বশেষ জাতীয় কাউন্সিলে নির্বাচন কমিশনার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৪৯ সালে পাবনায় জন্ম নেয়া এই আইনজীবী ছাত্রজীবনে পাবনা জেলা ছাত্রলীগের সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭১ সালে পাবনা জেলার স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের আহ্বায়ক ছিলেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন তিনি।

১৯৭৪ সালে পাবনা জেলা যুবলীগের সভাপতির দায়িত্বে আসেন সাহাবুদ্দিন। ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুর হত্যাকাণ্ডের পর কারাবরণ করতে হয় তাঁকে।

এরপর ১৯৮২ সালে বিসিএস (বিচার) বিভাগে যোগদান করেন এবং ১৯৯৫ সালে জুডিশিয়াল সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব হিসেবে নির্বাচিত হন তিনি।

বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলায় আইন মন্ত্রণালয় কর্তৃক নিযুক্ত সমন্বয়কারী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন সাহাবুদ্দিন।

এছাড়াও ২০০১ সালের সাধারণ নির্বাচন পরবর্তী সময়ে বিএনপি-জামাত জোটের নেতা কর্মীর দ্বারা সংঘটিত হত্যা, ধর্ষণ ও লুণ্ঠন এবং মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ডের অনুসন্ধানে গঠিত বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন তিনি।

মো. সাহাবুদ্দিন চুপ্পু ব্যক্তিগত জীবনে এক পুত্র সন্তানের পিতা এবং তাঁর স্ত্রী প্রফেসর ড. রেবেকা সুলতানা সরকারের সাবেক যুগ্ম সচিব ছিলেন।

Link copied!